ভেনিজুয়েলার অর্থনীতি অনেকাংশেই নির্ভর করে যুক্তরাষ্ট্রে তেল রফতানি থেকে উপার্জিত অর্থের ওপর। দেশটির রফতানিকৃত তেলের ৪১ শতাংশই যায় যুক্তরাষ্ট্রে।
ভেনিজুয়েলার অতি গুরুত্বপূর্ণ বিদেশি সম্পদের তালিকায় শীর্ষে রয়েছে এ প্রতিষ্ঠানের নাম। এটি মূলত যুক্তরাষ্ট্রে দেশটির রাষ্ট্রীয় মালিকানাধীন তেল ও গ্যাস কোম্পানি পিডিভিএস-এর সহায়ক কোম্পানি হিসেবে কাজ করে। মাদুরো সরকারকে উৎখাতের চেষ্টার অংশ হিসেবে গত জানুয়ারির শেষ দিকে পিডিভিএস-এর ওপর নিষেধাজ্ঞা আরোপ করেছে হোয়াইট হাউস। একইসঙ্গে ভেনিজুয়েলার স্বঘোষিত প্রেসিডেন্ট হুয়ান গুইদোকেও অব্যাহত পৃষ্ঠপোষকতা দিতে থাকে ওয়াশিংটন।
বুধবার ভেনেজুয়েলার সরকারবিরোধীরা ঘোষণা দেয়, সিটগো থেকে উপার্জিত অর্থ মাদুরো সরকারকে উৎখাতের প্রচেষ্টায় অর্থ ব্যয় করা হবে।
ওয়াল স্ট্রিট জার্নালকে দেওয়া সাক্ষাৎকারে সিনেটর মার্কো রুবিও বলেন, অন্তর্বর্তী প্রেসিডেন্ট খুব শিগগিরই সিটগো’র একটি নতুন গভর্নেন্স বোর্ডের নাম ঘোষণা করতে যাচ্ছেন। আজ-কালের মধ্যেই তিনি এ নাম ঘোষণা করতে পারেন। যুক্তরাষ্ট্রের আইনের মধ্যে থেকেই একে স্বীকৃতি দেবে ওয়াশিংটন।
২০১৮ সালের ২৮ জানুয়ারি যুক্তরাষ্ট্রে ভেনেজুয়েলার রাষ্ট্রীয় মালিকানাধীন তেল ও গ্যাস কোম্পানি পিডিভিএস-এর ওপর নিষেধাজ্ঞা আরোপ করে ট্রাম্প প্রশাসন। মার্কিন নিষেধাজ্ঞার কঠোর সমালোচক নিকোলাস মাদুরো বলেন, যারা এই দেশে হস্তক্ষেপের জন্য বিদেশিদের আহ্বান জানাচ্ছে, যারা নিজেদের সাম্রাজ্যবাদী শয়তানের কাছে সঁপে দিয়েছে আমরা সত্যিকারের ভেনিজুয়েলাবাসী তাদের বিরুদ্ধে অবস্থান নিয়েছি।