দর্পণ ডেস্ক : নারায়ণগঞ্জের ৩৩ বছরের পুরনো ড্রেজার জুনিয়র হাইস্কুল ড্রেজার পরিদফতরের প্রকৌশলীর মৌখিক নির্দেশনায় বন্ধ ঘোষণার পর এমপি একেএম সেলিম ওসমানের নির্দেশে খুলে দেয়া হয়েছে।
একই সঙ্গে স্কুলটি আবার চালুর জন্য প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণের নির্দেশ দিয়েছে পানি সম্পদ মন্ত্রণালয়। নারায়ণগঞ্জ-৫ আসনের এমপি একেএম সেলিম ওসমান স্কুলটি চালু করার ব্যাপারে ড্রেজার পরিদফতরের অতিরিক্ত প্রধান প্রকৌশলী শামসুদ্দীন আহমদের সঙ্গে আলোচনা করেন এবং স্কুলটি পনুরায় চালুর নির্দেশ দেন।
সোমবার সকালে স্কুলটির তালা খুলে দেন ড্রেজার পরিদফতরের অতিরিক্ত প্রধান প্রকৌশলী শামসুদ্দীন আহমদ। এ সময় জাতীয় পতাকা উত্তোলন ও জাতীয় সংগীত পরিবেশনের মধ্য দিয়ে স্কুলের কার্যক্রম শুরু হয়। প্রথম দিনেই স্কুলটির ভর্তি কার্যক্রম সম্পন্ন করা হয়।
৩৩ বছর পুরনো স্কুলটি বন্ধ ঘোষণা করায় শোকের কালো ছায়া নেমে এসেছিল স্কুলটির শিক্ষার্থী, শিক্ষক ও অভিভাবকদের মধ্যে। নানা দৌড়ঝাঁপের পর স্কুলটি পুনরায় চালু করাতে তাদের চোখেমুখে আনন্দ দেখা যায়। এই খুশিতে স্কুল প্রাঙ্গণে মিষ্টি বিতরণ করা হয়।
ড্রেজার পরিদফতরের অতিরিক্ত প্রধান প্রকৌশলী শামসুদ্দীন আহমদ বলেন, পানিসম্পদ মন্ত্রণালয়ের প্রতিমন্ত্রী ও উপমন্ত্রীর সঙ্গে আমার কথা হয়েছে। তারা স্কুলটি চালু করার জন্য বলেছেন। স্থানীয় এমপি সেলিম ওসমানের সঙ্গেও আমার কথা হয়েছে। আমি তাকে আশ্বস্ত করেছি সোমবার থেকে স্কুলটি চালু হবে।
তিনি আরও বলেন, স্কুলটি বন্ধ হোক সেটা আমি কখনও চাইনি। কিন্তু নিডবেসড সেটআপে ড্রেজার পরিদফতর অন্তর্ভুক্ত না হওয়ার কারণে আমার কিছুই করণীয় ছিল না। আমি চাই স্কুলটি সঠিকভাবে চলুক। এক্ষেত্রে আমার সহযোগিতা থাকবে।
স্কুলটির ভারপ্রাপ্ত প্রধান শিক্ষক পারভীন আক্তার মালা বলেন, আজকে এমপি সেলিম ওসমানের নির্দেশে স্কুলটি পুনরায় চালু হওয়ায় তাকে ধন্যবাদ জানাচ্ছি। সেই সঙ্গে ড্রেজার পরিদফতরের অতিরিক্ত প্রধান প্রকৌশলীকেও ধন্যবাদ জানাই। পাশাপাশি স্কুলটি চালু হতে যারা সার্বিকভাবে সহযোগিতা করেছেন তাদেরকেও ধন্যবাদ জানাই।
প্রসঙ্গত, ১৯৮৬ সালে ড্রেজার পরিদফতরের নিজস্ব খরচে ড্রেজার জুনিয়র হাইস্কুলটি প্রতিষ্ঠিত হয়। গত ২০১৬ সাল পর্যন্ত ড্রেজার পরিদফতরের নিজস্ব অর্থায়নে চলে স্কুলটি।
২০১৭ সালে ড্রেজার পরিদফতর বাংলাদেশ পানি উন্নয়ন বোর্ডের নিডবেসড সেটআপে অন্তর্ভুক্ত হয়। কিন্তু সেখানে এই স্কুলটি অন্তর্ভুক্ত না করায় ড্রেজার পরিদফতরের অতিরিক্ত প্রধান প্রকৌশলী শামসুদ্দীন আহমদের মৌখিক নির্দেশনায় বন্ধ ঘোষণা করা হয়।
এ ঘটনায় ড্রেজার জুনিয়র হাইস্কুল বন্ধের কারণ অনুসন্ধান করে প্রতিবেদন দাখিলের নির্দেশ দিয়েছেন হাইকোর্ট। দুই সপ্তাহের মধ্যে পানি উন্নয়ন বোর্ডের মহাপরিচালক ও ড্রেজার অধিদফতরের প্রধান প্রকৌশলীকে এ প্রতিবেদন দাখিলের নির্দেশ দেয়া হয়। আদালতের এই নির্দেশ আমলে নিয়ে রোববার স্কুলটি চালু করার জন্য প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণের নির্দেশ দেয় পানিসম্পদ মন্ত্রণালয়।