দর্পণ ডেস্ক : সিরিয়ার উপ-পররাষ্ট্রমন্ত্রী ফয়সাল মিকদাদ বলেছেন, পাশ্চাত্যের দেশগুলো যুদ্ধের ময়দানে না পেরে এখন ভিন্ন উপায়ে তাদের লক্ষ্য অর্জনের চেষ্টা করছে। তিনি আরও বলেছেন, পাশ্চাত্য এখন রাজনৈতিক হাতিয়ার ব্যবহার করে সিরিয়ার ওপর নিজেদের ইচ্ছা চাপিয়ে দেওয়ার চেষ্টা করছে। কিন্তু কখনোই সফল হতে পারবে না।

ফয়সাল মিকদাদ বলেন, সিরিয়ার স্বাধীনচেতা জনগণ অন্যের চাপিয়ে দেওয়া কোনো কিছুই মেনে নেবে না। সিরিয়ার জনগণকে কষ্টের মধ্যে রাখতে পাশ্চাত্য ও আঞ্চলিক দেশগুলো নিষেধাজ্ঞা আরোপ করেছে বলে তিনি জানান। তার মতে, নিষেধাজ্ঞা চাপিয়ে দিয়ে সিরিয়ায় নানা সমস্যার সৃষ্টি করা হয়েছে। দেশের বর্তমান সমস্যার মূলে রয়েছে পাশ্চাত্যের অবৈধ নিষেধাজ্ঞা।

সিরিয়ার ওপর নানা রাজনৈতিক শর্ত চাপিয়ে দিতে অর্থনৈতিক সমস্যা সমাধানের স্লোগান তুলে পাশ্চাত্য বিভিন্ন বৈঠক ও সম্মেলন আয়োজনের প্রস্তুতি নিচ্ছে বলে তিনি জানান।

সিরিয়ার উপপররাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, সিরিয়ার ওপর নিজেদের ইচ্ছা চাপিয়ে দেওয়ার লক্ষ্যে পাশ্চাত্য যেসব বৈঠক আয়োজন করতে যাচ্ছে তার অন্যতম হচ্ছে ব্রাসেলস বৈঠক। চলতি মাসেই ওই বৈঠকে অনুষ্ঠিত হবে। তাতে অংশ না নিতে তিনি জাতিসংঘের প্রতি আহ্বান জানান।

ইহুদিবাদী ইসরাইলের বিরুদ্ধে সদা সোচ্চার সিরিয় প্রেসিডেন্ট বাশার আসাদকে ক্ষমতাচ্যুত করতে ২০১১ সাল থেকে সিরিয়ায় বিদেশি মদদে সংকট ছড়িয়ে দেওয়া হয়। এতে আমেরিকার পাশাপাশি কয়েকটি আঞ্চলিক দেশের সরাসরি মদদ ছিল। সিরিয়ার সরকার দেশটির সেনাবাহিনী ও জনগণের সহযোগিতায় ওই সব ষড়যন্ত্র ব্যর্থ করে দিতে সক্ষম হয়েছে।