দর্পণ ডেস্ক : ‘শিক্ষা ব্যবস্থায় কোচিং বৈরী পরিস্থিতি তৈরি করছে। কোচিং পদ্ধতি শিক্ষা ব্যবস্থাকে জিম্মি করে ফেলছে। উপেক্ষা করা হচ্ছে শ্রেণিকক্ষের পাঠদানকে’। কোচিং বাণিজ্য বন্ধে গতবছর জারিকৃত নীতিমালার বৈধতার প্রশ্নে একটি রুলের ওপর চূড়ান্ত শুনানিতে অ্যামিকাস কিউরি হিসেবে সাবেক অ্যাটর্নি জেনারেল ব্যারিস্টার ফিদা এম কামাল এমন মন্তব্য করেছেন।
রিট শুনানিতে ফিদা এম কামাল বলেন, কোচিংয়ে গিয়ে শিক্ষার্থী পরীক্ষায় পাস করছে কিন্তু শিক্ষিত হচ্ছে না। এসময় আদালত বলেছে, শিক্ষার্থীরা কেন কোচিংয়ের দ্বারস্থ হচ্ছে সেটাও তো দেখতে হবে।
গতকাল রোববার এ সংক্রান্ত রিটের শুনানি শেষে হাইকোর্ট আগামী ৭ ফেব্রুয়ারি এ বিষয়ে রায়ের জন্য দিন ধার্য করেছে। একইসঙ্গে কোচিং বাণিজ্যের সঙ্গে জড়িত শিক্ষকদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিতে দুদকের চিঠির বৈধতার প্রশ্নে জারিকৃত রুলের ওপর ওইদিন রায় দেওয়া হবে।
এ প্রসঙ্গে, সরকারের ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল মোখলেসুর রহমান গণমাধ্যমকে বলেছেন, গতবছরের নীতিমালায় কোচিং সম্পূর্ণ নিষেধ করা হয়নি। শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের প্রধানের অনুমতি নিয়ে সেখানে কোচিং করানো যাবে বলে বলা হয়েছে।
এদিকে, দুর্নীতি দমন কমিশনের চেয়ারম্যান ইকবাল মাহমুদ গতকাল চট্টগ্রামে কয়েকটি শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে আকস্মিক সফর করে শ্রেণীকক্ষে শিক্ষকদের না পেয়ে ক্ষোভ প্রকাশ করেছেন। পরে এক সভায় তিনি বলেছেন, মানসম্মত শিক্ষার ব্যাপারে কাউকে কোনো ছাড় দেয়া হবে না।
অপরদিকে, প্রাথমিকস্তরের শিক্ষকদের বেতনের গ্রেড বৈষম্য কমানোর সিদ্ধান্ত নিয়েছে সরকার। এর ফলে, দেশের সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে চাকরিরত প্রায় সাড়ে ৩ লাখ শিক্ষক আর্থিক সুবিধা পাবেন।
মন্ত্রণালয়ের কর্মকর্তারা বলছেন, নতুন এ সিদ্ধান্ত বাস্তবায়ন হলে সহকারী শিক্ষকদের সাথে প্রধান শিক্ষকদের বৈষম্যই শুধুই কমছে না; মাধ্যমিক স্তরের সহকারী শিক্ষকদের সাথে প্রাথমিক বিদ্যালয়ের যে গ্রেড বৈষম্য রয়েছে তাও কমবে।
বর্তমানে প্রশিক্ষণবিহীন প্রধান শিক্ষক বেতন পান ১২তম গ্রেডে (১১৩০০ টাকা বেতন স্কেল) এবং প্রশিক্ষণপ্রাপ্ত ১১তম গ্রেডে (১২৫০০ টাকা বেতন স্কেল)। আর প্রশিক্ষণবিহীন সহকারী শিক্ষক ১৫তম গ্রেডে (৯৭০০ টাকা বেতন স্কেল) এবং প্রশিক্ষণপ্রাপ্ত সহকারী শিক্ষক ১৪তম গ্রেডে (১০২০০ টাকা বেতন স্কেল) বেতন পান।