দর্পণ ডেস্ক : নাটোরের বাগাতিপাড়া উপজেলায় জাদু খেলার নামে জীবন্ত মানুষকে কবরের ভেতরে ঢুকিয়ে প্রতারণা করে অর্থ আদায়ের অভিযোগ পাওয়া গেছে তিন ব্যক্তির বিরুদ্ধে।
প্রতারক চক্রের তিন সদস্যকে আটক করেছে পুলিশ। আটককৃতরা হলেন প্রতারক দলের প্রধান রাজশাহী জেলার আড়ানী নূরনগর গ্রামের মৃত শাহ মোসলেম দারোগার ছেলে মনোয়ার হোসেন এবং দুই সহযোগী একই গ্রামের মৃত পিয়ার আলীর ছেলে মো. পলাশ ও একই এলাকার ঝিনা গ্রামের মাসুদের ছেলে মো. সেলিম।
বিষয়টি নিশ্চিত করে থানা পুলিশের এসআই খাইরুল ইসলাম জানান, মঙ্গলবার বিকেলে রহিমানপুর বাজার থেকে কিছু দূরে গ্রামের ভেতরে জাদু খেলার নামে মনোয়ার ও তার দুই সহযোগী মানুষের প্রতারণা করছিল। সেখানে রাস্তার পাশে নিজেরাই কৃত্রিম কবর বানিয়ে সহযোগী সেলিমকে কবরে ঢুকিয়ে টিন দিয়ে তার ওপরে মাটিচাপা দেয়।
তিনি বলেন, এরপর গ্রামের নারী-পুরুষকে আর্থিক সহযোগিতা করার অনুরোধ করেন। সহযোগিতা না করলে কবরের ভেতরের মানুষটি সত্যি সত্যি মারা যাবে এমন কথা বলে প্রতারণা করেন। সাধারণ মানুষ মনোয়ারের কথায় প্রতারিত হয়ে তাদের অর্থসহ ধান, চাল দিতে থাকে। ঘটনাটি স্থানীয়দের মাধ্যমে গোপন সংবাদ পেয়ে পুলিশ অভিযান চালায়। সে সময় দ্রুত মাটি খুঁড়ে কবর থেকে সহযোগী সেলিমকে উদ্ধার করা হয়। এরপর তাদের তিনজনকেই আটক করে থানায় নেয়া হয়।
এদিকে, নাম প্রকাশ না করার শর্তে মনোয়ার হোসেনের গ্রামের একজন জানিয়েছেন, মনোয়ার দীর্ঘদিন ধরে বিভিন্ন স্থানে জাদু দেখিয়ে বেড়ায়।
বাগাতিপাড়া মডেল থানার ওসি সিরাজুল ইসলাম শেখ বলেন, জীবন্ত মানুষকে কবরে ঢুকিয়ে দীর্ঘ সময় মাটি চাপা দিয়ে রাখায় ওই ব্যক্তির প্রাণ সংশয় ছিল। তা ছাড়াও বিভিন্ন থানায় মনোয়ারের বিরুদ্ধে দুটি ও পলাশের বিরুদ্ধে ৫টি মাদকের মামলা রয়েছে। পুরো বিষয়টি খতিয়ে দেখা হচ্ছে বলেও জানান ওসি।