দর্পণ ডেস্ক : নতুন প্রস্তাব দিয়েছেন ব্রেক্সিট ইস্যুতে ব্রিটেনের প্রধানমন্ত্রী তেরেসা মে । তবে এই প্রস্তাবে আগের চেয়ে নতুন তেমন কিছু নেই বলে বিশ্লেষকরা বলছেন। অন্যদিকে বিরোধী দল লেবার পার্টির নেতা জেরেমি করবিনও একটি প্রস্তাব দিয়েছেন। দুই প্রস্তাবের মধ্যে বিরোধিতা দেখা দিয়েছে। ফলে ব্রেক্সিট শেষ পর্যন্ত কবে এবং কিভাবে বাস্তবায়ন হবে তা নিয়ে সংশয়ের সৃষ্টি হয়েছে। খবর রয়টার্স ও আলজাজিরা’র।
তেরেসা মে চুক্তিহীন ব্রেক্সিটের সম্ভাবনার কথাও জানিয়েছেন। তিনি এই নীতি থেকে সরে আসবেন না বলে জানান। এছাড়া দ্বিতীয় গণভোটের দাবি নাকচ করেছেন প্রধানমন্ত্রী তেরেসা মে। সোমবার পাল্টা একটি প্রস্তাব দিয়েছেন বিরোধী নেতা জেরেমি করবিন। তিনি চুক্তিহীন ব্রেক্সিট না করতে এবং দ্বিতীয় গণভোটের দাবি জানিয়েছেন যা তেরেসা মে’র প্রস্তাবের সঙ্গে সাংঘর্ষিক।
তেরেসা মে’র নতুন প্রস্তাব নিয়ে সংশোধনী দিতে পারবেন আইনপ্রণেতারা। তবে এর আগেই বিরোধী দলের পক্ষ থেকে পাল্টা প্রস্তাব দেওয়া হলো। এই প্রথম করবিনের পক্ষ থেকে আনুষ্ঠানিকভাবে ব্রেক্সিট নিয়ে কোনো প্রস্তাব দেওয়া হলো। তবে করবিনের দলেও তার প্রস্তাব নিয়ে বিরোধিতা আছে। আগামী ২৯ জানুয়ারি তেরেসা মে’র প্রস্তাব নিয়ে পার্লামেন্টে বিতর্ক হবে।
করবিন ইউরোপীয় ইউনিয়নের একক বাজারে ব্রিটেনের থাকার প্রস্তাব করেছেন এবং প্রয়োজনে দ্বিতীয় গণভোটের দাবি তুলেছেন। করবিন চুক্তিহীন ব্রেক্সিটের কঠোর বিরোধিতা করেছেন। তেরেসা মে এসব প্রস্তাব আগেই নাকচ করে দিয়েছিলেন। ফলে দুই পক্ষের বিরোধে শেষ পর্যন্ত ব্রেক্সিটের বাস্তবায়ন নিয়ে আশঙ্কা আছে বিশ্লেষকদের মধ্যে।
ইউরোপিয়ান কমিশনের মুখপাত্র মারগারিতিন সিচিনাস বলেন, চুক্তিহীন ব্রেক্সিটের অর্থ হবে হার্ড আইরিশ সীমান্ত। এটা হলে ব্রিটেনের কোনো পণ্য আমদানিতে ইইউভুক্ত দেশগুলো কঠোরভাবে যাচাই-বাছাই করবে।