দর্পণ ডেস্ক : আজ রোববার সচিবালয়ে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয় পরিদর্শনে গিয়ে মন্ত্রণালয়ের কর্মকর্তাদের সঙ্গে মতবিনিময়কালে তিনি বলেন, ‘সংক্রামক রোগের মতো দুর্নীতি সমাজে ছড়িয়ে পড়েছে। আর এটি শুরু হয়েছিল দেশে সামরিক শাসনামলের শুরুতে। সে সময় জঙ্গিবাদ পরোক্ষভাবে রাষ্ট্রীয় পৃষ্ঠপোষকতা পেয়েছিল, কিন্তু তারা জঙ্গিবাদকে তখন কেন রাষ্ট্রীয়ভাবে পৃষ্ঠপোষকতা দিয়েছিল তা আমি জানি না। এই ধরনের সংক্রামক রোগ থেকে দেশকে মুক্ত করতে হবে। এর জন্য যা যা প্রয়োজন তাই করবো। এটি এখন সময়ের প্রয়োজন’।
তিনি আরো বলেন, ‘জনগণের জান-মালের নিরাপত্তা দেওয়া এই মন্ত্রণালয়ে যারা সংশ্লিষ্ট রয়েছেন তাদের দায়িত্ব। আমরা দক্ষিণ এশিয়ার একটি শান্তিপূর্ণ দেশ হিসেবে বাংলাদেশকে গড়ে তুলতে চাই। সেই লক্ষ্য নিয়েই আমরা কাজ করে যাচ্ছি’।
দেশে মাদক নির্মূল প্রসঙ্গে তিনি বলেন, ‘পাশাপাশি মাদক ও সন্ত্রাস, জঙ্গিবাদ নির্মূল করতে হবে। দেশে যখন জঙ্গিবাদের উত্থান ঘটল, বাংলা ভাই সৃষ্টি হলো তখন তৎকালীন সরকারের কেন জানি একটা প্রচ্ছন্ন সহযোগিতা ছিল। কেন আমি জানি না কিন্তু এটা সবার কাছেই ধরা পড়েছে। ট্রাকে তারা মিছিল করে, আর পুলিশ তাদের পাহারা দেয়, এমন দুর্ভাগ্যজনক পরিস্থিতি বাংলাদেশে দেখেছি। সেই সঙ্গে মাদক ঘরে ঘরে ছড়িয়ে দেওয়া হয়েছে’।
এসময় শেখ হাসিনা বলেন, ‘মাদকের বিরুদ্ধে অভিযানটা অব্যাহত থাকতে হবে। অভিযান অব্যাহত থাকার সঙ্গে সঙ্গে মাদকমুক্ত করতে হবে। এছাড়া মাদক কারা আনে, কারা পাচারকারী, কারা তৈরি করে, তাদের বিরুদ্ধে বহুমুখী পদক্ষেপ নিতে হবে। শুধু মাদক যে সেবন করে তাকেই নয়, যারা সুস্থ হয়ে সমাজে ফিরে আসতে চায় তাদের সেই সুযোগ সৃষ্টি করতে হবে’।
এসময় প্রধানমন্ত্রী স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের কর্মকর্তাদের উদ্দেশ্যে বলেন, ‘আইন-শৃঙ্খলা রক্ষাকারী সংস্থার যোগাযোগ করার জন্য গাড়ি বা নৌযানের খুব সমস্যা থাকে। আমরা প্রতিনিয়ত গাড়ি কিনে দিচ্ছি। গাড়ি এতো বেশি ব্যবহার হয় যে এগুলো বেশিদিন টিকবে এমন নয়। একবার গাড়ি কিনে দিলে আজীবন চলবে, এটা আমি বিশ্বাস করি না। অন্যের কাছ থেকে গাড়ি নিয়ে নেওয়া এটাও আমরা চাই না’।
তিনি আরো বলেন, ‘লোকজন অনুযায়ী কী সংখ্যক গাড়ি বছরে লাগতে পারে চার্ট করে রাখেন। লোকালি যেখানে গাড়ি অ্যাসেম্বল হয় সেখানে অর্ডার প্লেস করে রাখেন, যত গাড়ি হয় তারা সাপ্লাই দেবে। সেভাবে একটা ব্যবস্থা আপনাদের নেওয়া উচিত’।
প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘জলযান কোথায় কী পরিমাণ লাগবে সেটার যদি হিসাব থাকে, হিসাব মতো যদি শুরু থেকে ব্যবস্থা করা যায়, তবে আইনশৃঙ্খলা বাহিনী আরও বেশি নিরাপত্তা দিতে পারবে’।
মতবিনিময় সভায় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান কামাল, জননিরাপত্তা বিভাগের সচিব মোস্তাফা কামাল উদ্দীন ও সুরক্ষা সেবা বিভাগের সচিব ফরিদ উদ্দিন আহম্মদ চৌধুরী এবং অধীন সংস্থার প্রধানরা উপস্থিত ছিলেন।