গাজীপুরের টঙ্গী এলাকা থেকে গ্রেফতারকৃত মামুনুর রশিদ রিপন হলি আর্টিজান মামলার পলাতক আসামি বলে জানিয়েছে র্যাব।
শনিবার মধ্যরাতে গাজীপুরের বোর্ডবাজার এলাকায় একটি বাস থেকে তাকে আটক করা হয়।
র্যাবের আইন ও গণমাধ্যম শাখার পরিচালক মুফতি মাহমুদ খান বলেন, গোপন তথ্যের ভিত্তিতে বোর্ডবাজার এলাকায় রাত ১টার দিকে ঢাকামুখী একটি বাস থেকে রিপনকে আটক করা হয়। তিনি হালুয়াঘাট থেকে ঢাকার দিকে আসছিলেন।
তিনি আরও জানান, রিপন হলি আর্টিজানে জঙ্গি হামলায় অর্থ, অস্ত্র ও বিস্ফোরক সরবরাহকারী ছিলেন।
এ ছাড়া হলি আর্টিজান হামলা মামলার চার্জশিটভুক্ত এ আসামি জেএমবির অন্যতম শূরা সদস্য বলে জানান মুফতি মাহমুদ।
গ্রেফতারের সময় রিপনের কাছে দেড় লাখ টাকা পাওয়া গেছে বলে জানান তিনি।
রোববার কারওয়ানবাজারে র্যাবের মিডিয়া সেন্টারে সংবাদ সম্মেলন করে এ বিষয়ে বিস্তারিত তথ্য তুলে ধরা হবে বলে জানান র্যাবের এ কর্মকর্তা।
প্রসঙ্গত, ২০১৬ সালের ১ জুলাই গুলশানের হলি আর্টিজান বেকারিতে সন্ত্রাসী হামলা চালিয়ে দুই পুলিশসহ দেশি-বিদেশি ২২ জনকে হত্যা করে জঙ্গিরা।
এ সময় আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর যৌথ অভিযানে পাঁচ জঙ্গি নিহত হন।
অভিযানে এক জাপানি ও দুজন শ্রীলঙ্কানসহ ১৩ জনকে জীবিত উদ্ধার করা হয়।
এ ঘটনায় ওই বছরের ৪ জুলাই গুলশান থানায় সন্ত্রাসবিরোধী আইনে মামলা করে পুলিশ।
গত বছরের ৩ ডিসেম্বর মামলাটিতে সাক্ষ্যগ্রহণ শুরু হয়।
এ মামলার মোট আসামি আটজন। এরমধ্যে ছয়জন কারাগারে রয়েছেন।
বাকি দুজন আসামি পলাতক ছিলেন। এরমধ্যে গতকাল মামুনুর রশিদ রিপনকে র্যাব গ্রেফতার করে। অন্য আসামি শহীদুল ইসলাম খালেদ এখনো পলাতক রয়েছেন।
কারাবন্দি ছয়জন- জাহাঙ্গীর আলম ওরফে রাজীব গান্ধী, রাকিবুল হাসান রিগান, রাশেদুল ইসলাম ওরফে র্যাশ, সোহেল মাহফুজ, মিজানুর রহমান ওরফে বড় মিজান, হাদিসুর রহমান সাগর।