দর্পণ ডেস্ক : চমকপ্রদ এক তথ্য জানিয়েছে চীনের ন্যাশনাল স্পেস অ্যাডমিনিস্ট্রেশন (সিএনএসএ)। চীনের চাং’ই-চার মহাকাশযানে বহন করে চাঁদে নিয়ে যাওয়া তুলা বীজের অঙ্কুরোদগম হয়েছে।

মঙ্গলবার এ ঘোষণা দিয়ে চীনের গবেষকরা চন্দ্রযান থেকে এর ছবি প্রকাশ করেছেন। এতে দেখা গেছে, যানটির এক কোণে একটি পাত্রে মাথা চাড়া দিয়ে উঠেছে ছোট্ট এ চারাগাছ।

আন্তর্জাতিক মহাকাশ স্টেশনে (আইএসএস) এর আগে বিজ্ঞানীরা লেটুস উৎপাদনসহ ফুলও ফুটিয়েছেন। কিন্তু চাঁদে গাছ জন্মানোর এমন ঘটনা এটিই প্রথম। এতে চাঁদে উদ্ভিদ জন্মানোর মতো পরিবেশ আছে বলেই মনে হচ্ছে। আর তাই বিষয়টিকে দীর্ঘমেয়াদী মহাকাশ গবেষণায় অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ বিষয় হিসেবে দেখছেন বিজ্ঞানীরা।

চা’ই-৪ মহাকাশযানের একটি কার্গোতে বায়ুরোধক কয়েকটি কন্টেইনারের মধ্যে মাটিতে তুলা ও আলুর বীজ এবং ইস্ট ও মাছির ডিম পাঠানো হয়েছে। মহাকাশযানটির সঙ্গে নিয়ন্ত্রণ কক্ষের সরাসরি কোনো সংযোগ না থাকায় চাং’ই-৪কে ছবি ও তথ্য প্রথমে অন্য একটি কৃত্রিম উপগ্রহে পাঠাতে হয়। সেখান থেকে পরে সেগুলো পৃথিবীতে আসে।

এখন পর্যন্ত মহাকাশযানটি প্রায় ১৭০টি ছবি তুলে তা পৃথিবীতে পাঠিয়েছে বলে জানিয়েছে সিনহুয়া।

চাঁদে উদ্ভিদ জন্মানোর মতো পরিবেশ থাকার মানে হচ্ছে, মানুষ চাঁদে ভবিষ্যৎ কলোনির জন্য প্রয়োজনীয় জিনিস উৎপাদন করতে পারবে। মহাকাশেই খাদ্য উৎপাদন করতে পারলে রসদের জন্য নভোচরদের পৃথিবীতে ফিরে আসার প্রয়োজনও কমবে। গত ৩ জানুয়ারি চীনের একটি রোবোটিক চন্দ্রযান সফলভাবে চাঁদের অন্ধকার পিঠে অবতরণ করে।