দর্পণ ডেস্ক : ভরণপোষণ করতে না পেরে বাবা-মা শিশু ছেলেকে তুলে দিলেন আরেক দম্পতির হাতে। যে দম্পতি নিলেন তাদেরও সন্তান না হওয়ার অভাব পূরণ হয়েছে।

ওই এলাকার শাহেদ আলীর ছেলে দৃষ্টি প্রতিবন্ধী মোমেন মিয়ার শিশুটির বাবা। শিশুটি ৭ জানুয়ারি রাতে মাওনা চৌরাস্তা সুনীল চন্দ্রের প্রাইভেট ক্লিনিকে ভূমিষ্ঠ হয়। মানুষের দ্বারে দ্বারে ঘুরে ভিক্ষা করা যার পেশা সেই দৃষ্টি প্রতিবন্ধী মোমেন মিয়ার সংসারে সদস্য সংখ্যা স্ত্রী ও পাঁচ ছেলে মেয়েসহ মোট সাতজন। ভিক্ষা করেই চলে তার সংসার।

শিশুর বাবা মোমেন মিয়ার ভাষ্যমতে, শিশুটির ভরণপোষণ করতে না পারায় নিজ তাগিদ থেকেই তিনি তার শিশু সন্তানকে নিঃসন্তান দম্পতির হাতে তুলে দেন। এতে কোনো লিখিত চুক্তি বা আর্থিক লেনদেন হয়নি। তবে ওই দম্পতি তার বাড়িতে এক বস্তা চাল আর চার হাজার টাকা দিয়ে গেছেন।

শিশুর মা হোসনা বেগম জানান, অভাবের সংসারে ভরণপোষণের ক্ষমতা নেই। আমাদের আরও পাঁচ সন্তান রয়েছে। তাদেরকে নিয়ে সংসার চালাতে খুব কষ্ট হয়। তাই আমরা এই সন্তানকে কোনো কিছুর বিনিময় ছাড়াই নিঃসন্তান দম্পতিকে দিয়েছি।

একই উপজেলার পার্শ্ববর্তী মাওনা ইউনিয়নের বদনী ভাঙ্গা গ্রামের ছাত্তার মিয়া সন্তানের আশায় পর পর দুটি বিয়ে করেন। কিন্তু তার আশা পূরণ হয়নি। প্রথম স্ত্রী ঢাকার একটি হাসপাতাল থেকে একটি ছেলে শিশু এনে লালন পালন করে আসছেন।

ছাত্তার মিয়ার দ্বিতীয় স্ত্রী মিনারা বেগমের সন্তান না হওয়ায় মোমেন মিয়ার শিশুটি লালন পালনের জন্য নিয়ে যান। মিনারা বেগম বলেন, মোমেন মিয়ার আরও পাঁচজন সন্তান রয়েছে। তাদের পরিবারের অনুমতিক্রমেই শিশুটিকে আমার কাছে হস্তান্তর করা হয়েছে।