দর্পণ ডেস্ক : কুমিল্লায় নারী নির্যাতনের মামলার রায় পক্ষে পাইয়ে দেয়ার প্রলোভন দেখিয়ে বিচারপ্রার্থী চার সন্তানের জননী এক গৃহবধূকে গণধর্ষণের ঘটনা ঘটেছে। এ ঘটনায় বুধবার দুপুরে মামলা দায়েরের পর পুলিশ অভিযান চালিয়ে আইনজীবীর সহকারী আনিছুর রহমান ও এক আইনজীবীর বাড়ির দারোয়ান লিটন বিশ্বাসকে গ্রেফতার করেছে।

পুলিশ ও অভিযোগ সূত্রে জানা যায়, জেলার দেবিদ্বার উপজেলার চাঁনপুর গ্রামের চার সন্তানের এক জননী তার স্বামী আবদুল মালেকের বিরুদ্ধে কুমিল্লার আদালতে নারী নির্যাতনের মামলা দায়ের করেন। এ মামলার রায় ওই নারীর পক্ষে পাইয়ে দেয়ার প্রলোভন দেখিয়ে কুমিল্লার আদালতের আইনজীবীর সহকারী লালমাই উপজেলার শানিচোঁ গ্রামের ফজর আলীর ছেলে জহিরুল ইসলাম (৩৫) ওই নারীকে গত ২৮ ডিসেম্বর শানিচোঁ গ্রামের এক আইনজীবীর নির্জন বাড়িতে নিয়ে যায়। সেখানে তাকে দুপুর থেকে সন্ধ্যা পর্যন্ত আটকে রেখে ওই বাড়ির দারোয়ান বরিশালের মুলাদি উপজেলার কাজীরচর গ্রামের আমজাদ আলীর ছেলে লিটন বিশ্বাস (৩৮), আরেক আইনজীবীর সহকারী কুমিল্লা মহানগরীর আদালত সংলগ্ন কাপ্তান বাজার এলাকার আশেক আলীর ছেলে আনিছুর রহমান (৩৫) মিলে পালাক্রমে ধর্ষণ করেন।

এ ঘটনায় ওই নারী বিভিন্ন স্থানে প্রতিকার চেয়ে বিচার না পেয়ে নিরুপায় হয়ে প্রভাবশালী আসামিদের হুমকির মুখে আদালতে মামলা দায়ের করতে ব্যর্থ হন। পরে বুধবার দুপুরে সদর দক্ষিণ মডেল থানায় তিনজনকে আসামি করে মামলা দায়ের করেন।

সদর দক্ষিণ মডেল থানা পুলিশের উপ-পরিদর্শক (এসআই) খাদেমুল বাহার জানান, এ মামলার এজাহার নামীয় আসামি আইনজীবীর সহকারী আনিছুর রহমান ও বাড়ির দারোয়ান লিটন বিশ্বাসকে গ্রেফতার করা হয়েছে। তাদেরকে বিকেলে আদালতের মাধ্যমে কারাগারে পাঠানো হয়েছে।