দর্পণ ডেস্ক : গাজীপুরে আফরোজা বেগম (২২) নামে এক গৃহবধূকে শ্বাসরোধে হত্যার পর মরদেহ সেপটিক ট্যাংকে ফেলে দিয়েছে তার স্বামী। শনিবার সকালে ওই গৃহবধূর মরদেহ উদ্ধার করেছে পুলিশ।

নিহত আফরোজা গাইবান্ধা সদরের জিকা বাড়ি এলাকার বিল্লাল হোসেনের মেয়ে। তার স্বামী শাহজাহান মিয়ার বাড়ি জামালপুরের সানন্দবাড়ির মন্ডলপাড়া এলাকায়।

নিহত আফরোজার মামা একামত হোসেন জানান, ৭/৮ বছর আগে আফরোজার সঙ্গে শাহজাহানের বিয়ে হয়। তাদের ঘরে ৬ বছর বয়সী এক কন্যা সন্তান রয়েছে। আফরোজা স্থানীয় সালনা এলাকার শ্যামলী গার্মেন্টে চাকরি করত এবং শাহজাহান স্থানীয় জোলারপাড়ে এক স্টিল মিলে চাকরি করেন। তারা সপরিবারে ভাওরাইদের মুকুল হোসেনের বাড়ি ভাড়া থাকেন। শুক্রবার রাত সাড়ে ৮টার দিকে তারা কর্মস্থল থেকে বাসায় ফেরেন। এ সময় তাদের মেয়ে ওই বাসার অদূরে দাদির বাসায় ছিল।

শাহজাহান মিয়া রাত সাড়ে ১২টার দিকে ভাড়াবাড়ির পাশের রাস্তার ধারে সেপটিক ট্যাংকের ঢাকনা খুলে আফরোজার মরদেহ ফেলে দেন। একপর্যায়ে রাস্তা দিয়ে যাওয়ার সময় স্থানীয় মুকুল মিয়া ও তার শ্যালক ঘটনাটি দেখে ফেলেন। ঘটনাটি কাউকে না বলার জন্য তাদের হাতে-পায়ে ধরে অনুরোধ জানান শাহজাহান। পরে তারা ঘটনাটি নিহতের স্বজন ও স্থানীয় ২৩নং ওয়ার্ডের কাউন্সিলর মনজুর হোসেনকে জানান। এ সময় কৌশলে শাহজাহান এলাকা ছেড়ে পালিয়ে যান। খবর পেয়ে পুলিশ গিয়ে শনিবার সকালে মরদেহটি উদ্ধার করে তাজউদ্দীন আহমদ মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল মর্গে পাঠায়।

গাজীপুর সদর থানা পুলিশের উপ-পরিদর্শক (এসআই) মো. রিয়াজ জানান, নিহতের গলায় আঘাতের চিহ্ন রয়েছে। ঘটনাটি হত্যা না আত্মহত্যা ময়নাতদন্তের প্রতিবেদন পাওয়ার পর জানা যাবে। দাম্পত্য কলহের জেরে এ ঘটনা ঘটেছে বলে প্রাথমিকভাবে জানা গেছে।