দর্পণ ডেস্ক : একে বলা হয় কার্ডিওপালমোনারি রিসাসিটেশন।সংক্ষেপে সিপিআর নামেই বেশি পরিচিত। কারো হৃদস্পন্দন বন্ধ বা হ্রাস পেলে,অথবা শ্বাস রোধ হলে জীবন বাঁচাতে সিপিআর এর বিকল্প নেই। এ অবস্থায় প্রথম ৬ মিনিট খুবই জটিল। এতে মস্তিষ্ক স্থায়ীভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হতে পারে। মৃত্যুও ঘটতে পারে।
তাই সিপিআর শিখে রাখা সবার জন্যেই জরুরি। কারো হৃদস্পন্দন বন্ধ হয়ে গেলে প্রথম ৬ মিনিটে কার্যকর পদ্ধতি গ্রহণ করাটা জরুরি। নয়তো তার পরিণতি নির্ধারণ হয়ে যাবে। এর মধ্যে প্রতিটা সেকেন্ড তার বেঁচে থাকার সম্ভাবনাকে জিইয়ে রাখে। অচেতন হয়ে পড়া, হৃদস্পন্দন না পাওয়া এবং শ্বাস বন্ধ হয়ে যাওয়া হলো হৃদযন্ত্র কিংবা ফুসফুস বন্ধ হয়ে যাওয়ার লক্ষণ প্রকাশ করে।
সিপিআর যদি শেখা থাকে তা প্রয়োগ করতে পারেন। তবে তার আগে অবশ্যই নিশ্চিত হবেন রোগী অচেতন হয়ে পড়েছেন কিনা। আর অবশ্যই অ্যাম্বুলেন্সে খবর দিতে ভুলবেন না। এর মধ্যে অচেতন রোগীর ওপর সিপিআর প্রয়োগ করতে হবে।
প্রথমেই রোগীকে কোনো সমান ও শক্ত স্থানে চিত করে শুইয়ে দিন। এবার রোগীর বুকের মাঝামাঝি একটু ওপরের দিকে দুই হাতের তালুর শক্ত অংশ রাখতে হবে। একটা হাতের তালুর শক্ত অংশ বুকের পাঁজরের মাঝামাঝি রাখুন। অপর হাতটি প্রথম হাতের ওপর দিন শক্তি জোগাতে। এবার সেখানে দুই হাতে চাপ প্রয়োগ করুন। এমন গতিতে চাপবেন যেন প্রতি মিনিটে ১০০ বার চাপ প্রয়োগ করা হয়।অ্যাম্বুলেন্স আসা অবধি কাজটি করতে থাকুন। এতে করে হৃদযন্ত্র সচল হয়ে যেতে পারে।