দর্পণ ডেস্ক : একজনের রক্তদানে বেঁচে যায় আরেকটা জীবন। রক্তদান পৃথিবীর সবোর্চ্চ সেবার মধ্যে একটি। তিন দশক আগেও রক্তের জন্য একজনকে কত না ছোটাছুটি করতে হয়েছে। কিন্তু বর্তমানের চিত্র একদম আলাদা। রক্তদানে গড়ে উঠেছে অনেক সংগঠন, পরিবর্তন হয়েছে মানুষের ইচ্ছাশক্তির। এখন মানুষ ভাবে স্বেচ্ছায় রক্তদানে মানসিক প্রশান্তি আসে। তবে শুধু প্রশান্তির আশায় রক্তদান করলে হবে না রক্তদানের আগে ও পরে এবং রক্তদানের সময় কি কি করণীয় তা সম্পর্কে আমাদের সকলের সঠিক ধারণা থাকতে হবে।
রক্তদানের পূর্বে যা করণীয়:
-জেনে নিন আপনি রক্ত দেওয়ার জন্য আদৌ উপযুক্ত কি না। কী কী ধরনের রোগব্যাধি শরীরে থাকলে একজন রক্তদান করতে পারেন না। এই তথ্যগুলো ডোনারের নিজের উদ্যোগেই জেনে নেওয়া উচিত।
-রক্ত দানের পূর্বে স্বাস্থ্যকর খাবার খেতে হবে। চর্বিযুক্ত খাবার, ভাঁজাপোড়া ও আইসক্রিম জাতীয় খাবার এড়িয়ে চলতে হবে। কেননা চর্বি জাতীয় খাবার খেলে ব্লাড টেস্ট প্রভাবিত হয়। রক্তে চর্বির পরিমাণ বৃদ্ধি পেলে সংক্রামক ব্যাধির টেস্ট করা সম্ভব হয়না ফলে সেই রক্ত সঞ্চালন করা হয়না।
-খালি পেটে রক্ত দিতে কখনোই যাওয়া উচিত নয়। রক্ত দেওয়ার পূর্বে অতিরিক্ত ১৬ আউন্স পানি বা তরল খাবার গ্রহণ করতে হবে এবং চা-কফি যতটা সম্ভব এড়িয়ে চলতে হবে।
রক্তদানের সময় যা করণীয়:
-রক্তদানের সময় ঢিলেঢালা পোশাক পরে যাওয়াই উত্তম। এতে হাত নড়াচড়া এবং হাতা কনুই এর উপরে উঠানো সহজ হবে।
-আপনি যে হাত থেকে রক্ত দিতে ইচ্ছুক তা যিনি রক্ত নিবেন অর্থাৎ টেকনিশিয়ান বা নার্সকে তা জানান।
-রক্তদান প্রক্রিয়াটির সময় রিলেক্স থাকুন, গান শুনুন অথবা অন্য রক্ত দাতাদের সাথে কথা বলুন।
রক্ত দানের পড়ে যা করণীয়:
-রক্তদানের পরপরই অতিরিক্ত ৪ গ্লাস বা ৮ আউন্স পানি পান করুন এবং পরবর্তী ২৪ ঘণ্টা অ্যালকোহল গ্রহণ করা থেকে নিজেকে বিরত রাখুন।
-রক্তদানের ১ ঘনটার মধ্যেই আক্রান্ত স্থানের মোড়ানো ব্যান্ডেজ খুলে ফেলুন আর এর পরিবর্তে ছোট স্ট্রাইপ ব্যান্ডেজ ব্যবহার করুন।
-সুঁই ফোঁড়ানোর স্থান দিয়ে যদি রক্ত পরে তাহলে সেখানে হাত দিয়ে চেপে ধরুন এবং হাত উপরের দিকে ৫-১০ মিনিট উঠিয়ে রাখুন যতক্ষণ না রক্ত পড়া বন্ধ হয়।
-যদি রক্ত দেয়ার পরে আপনার মাথা ঘোরায় তাহলে আপনি যে কাজ করছিলেন তা থেকে নিজেকে বিরত রাখুন। মাথা-ঘোরানো বন্ধ করার জন্য শুয়ে থাকুন এবং পর্যাপ্ত ঘুমিয়ে নিন।