মোঃ লিটন হোসেন লিমন, নাটোর প্রতিনিধি:
নাটোর-৪ (বড়াইগ্রাম-গুরুদাসপুর) আসনে একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে দীর্ঘদিনের বিবাদ ভূলে আওয়ামী লীগ নেতাকর্মীরা নৌকাকে বিজয়ী করতে একাট্টা হয়েছেন। এতে আওয়ামী ঘরানার কর্মী ও ভোটাররা বেশ উজ্জীবিত হয়ে উঠেছেন। অপরদিকে, বুধবার নির্বাচনের মাত্র চারদিন আগে হাইকোর্ট প্রার্থী আব্দুল আজিজের প্রার্থীতা বাতিল করে দেয়ায় এ আসনে বিএনপির নেতৃত্বাধীন জোটের আর কোন প্রার্থী থাকছে না। এতে চরমভাবে হতাশ হয়ে পড়েছেন বিএনপির নেতাকর্মীরা। জানা গেছে, এ আসনে অভ্যন্তরীণ দ্বন্দ্ব ও মান-অভিমান ভূলে নেতাকর্মীরা নৌকাকে বিজয়ী করতে ঐক্যবদ্ধ ভূমিকা পালন করছেন। প্রার্থী জেলা আওয়ামীলীগের সভাপতি অধ্যাপক আব্দুল কুদ্দুসসহ তার মেয়ে যুব মহিলা লীগের কেন্দ্রীয় কমিটির সহ-সভাপতি কোহেলী কুদ্দুস মুক্তি নির্বাচনের শুরু থেকেই মাঠে-ময়দানে জোর তৎপরতা চালিয়ে যাচ্ছেন। মনোনয়ন বঞ্চিত প্রার্থী শাহনেওয়াজ আলী মোল্লাকেও নৌকার পক্ষে গণসংযোগ করতে দেখা যাচ্ছে। নানা কারণে রাজনীতির মাঠ থেকে দুরে থাকা বড়াইগ্রাম পৌর আওয়ামীলীগের সাধারণ সম্পাদক অধ্যক্ষ মাহবুব উল হক বাচ্চু ও বড়াইগ্রাম ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সভাপতি ইসাহাক আলী মোল্লাসহ দলীয় ভিন্ন মেরুতে থাকা জেলা পরিষদ সদস্য উপজেলা যুবলীগের যুগ্ন আহ্বায়ক আবুল কালাম জোয়াদ্দার ও জোনাইল ইউনিয়ন আওয়ামীলীগের সাবেক সাধারণ সম্পাদক আবুল কালাম আযাদসহ তাদের অনুসারীরা মান-অভিমান ভূলে অধ্যাপক আব্দুল কুদ্দুস এমপিকে পুনরায় বিজয়ী করতে নৌকার পক্ষে মাঠে নেমেছেন। দীর্ঘদিনের দ্বন্দ্ব ভূলে একসঙ্গে সবাই মাঠে নামায় নেতাকর্মীসহ সাধারণ ভোটাররা যথেষ্ঠ উজ্জীবিত হয়ে উঠেছেন। অপরদিকে, নানা শঙ্কা ও হুমকি-ধামকির মধ্যেও এতোদিন বিএনপির প্রার্থী আব্দুল আজিজ কৌশলে প্রচারণা চালিয়ে আসছিলেন। সাধারণ নেতাকর্মীরা পোষ্টারিং ও মাইকিং করতে না পারাসহ নানা কারণে প্রকাশ্যে মাঠে না নামলেও শেষ পর্যন্ত ভোট দিতে পারলে বিজয়ী বা শক্ত প্রতিদ্বন্দ্বিতার আশা করছিলেন। কিন্তু বুধবার উপজেলা চেয়ারম্যানের পদে থেকে নির্বাচনে অংশ নেয়ায় আব্দুল আজিজের প্রার্থীতা বাতিল করেছে হাইকোর্ট। বিচারপতি জেবিএম হাসান ও বিচারপতি মো. খায়রুল আলমের ডিভিশন বেঞ্চ বুধবার এ আদেশ দেন। এর আগে তার মনোনয়নপত্র যাচাই বাছাইকালে গুরুদাসপুর উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান পদ থেকে তিনি পদত্যাগ করলেও মন্ত্রণালয়ে গৃহিত না হওয়ায় তার মনোনয়নপত্র স্থগিত করে জেলা রিটার্নিং কর্মকর্তা। প্রার্থীতা ফিরে পেতে আপিল করলে নির্বাচন কমিশন তার মনোনয়নপত্র বৈধ ঘোষনা করে। কিন্তু নির্বাচনের মাত্র চারদিন আগে হাইকোর্ট আবারও তার প্রার্থীতা বাতিল করে দেয়ায় মানসিকভাবে হতাশ পড়েছেন তার নেতাকর্মীরা। প্রতিদ্বন্দ্বিতা না থাকায় সাধারণ ভোটারদের মাঝেও নির্বাচন অনেকটা নিষ্প্রভ হয়ে পড়েছে। তবে এতে আওয়ামীলীগ নেতাকর্মীদের মধ্যে উচ্ছাস লক্ষ্য করা গেছে। এ ব্যাপারে বড়াইগ্রাম উপজেলা বিএনপির সাধারণ সম্পাদক হজরত আলী বলেন, একেবারে শেষ সময়ে হাইকোর্টে আমাদের প্রার্থীর প্রার্থীতা বাতিল হয়েছে। এতে আমাদের নেতাকর্মীরা চরমভাবে হতাশ হয়ে পড়েছে।