অনলাইন ডেস্ক : এসএসসি ও সমমানের পরীক্ষার ফলাফলের অনুলিপি গ্রহণকালে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন, এবার ৭৭ দশমিক ৭৭ শতাংশ শিক্ষার্থী পাস করেছে। এটি একটি সফলতা। আমি উত্তীর্ণ শিক্ষার্থীদের অভিনন্দন জানাই। সেই সঙ্গে যারা পাস করতে পারেনি, তাদেরও অভিনন্দন জানাই। তারাও তো চেষ্টা করেছে।

অভিভাবকের উদ্দেশে তিনি বলেন, সন্তান অকৃতকার্য হলে বকাঝকা দিয়ে লাভ নেই। তারা যেন ভবিষ্যতে ভালো করতে পারে এজন্য অনুপ্রাণিত করতে হবে। রোববার সকালে গণভবনে প্রধানমন্ত্রীর কাছে এসএসসি ও সমমানের পরীক্ষার ফলাফলের অনুলিপি হস্তান্তর করেন শিক্ষামন্ত্রী নুরুল ইসলাম নাহিদ।

এবারের মাধ্যমিক ও সমমানের পরীক্ষায় পাসের হার গত নয় বছরের মধ্যে সর্বনিম্ন। এটি নিয়ে হতাশ না হওয়ার পরামর্শ দিয়ে প্রধানমন্ত্রী বলেন, আগামীতে পাশের হার আরও বাড়বে বলে আশা করি।

২০১৭ সালে এসএসসি ও সমমানের পরীক্ষায় পাশের হার ছিল ৮০ দশমিক ৩৫ শতাংশ। এবার তা কমে হয়েছে ৭৭ দশমিক ৭৭ শতাংশে। এ বিষয়ে শেখ হাসিনা বলেন, এবার যেহেতু পরীক্ষারীর সংখ্যাও বেশি। সংখ্যার হিসাবে পাসের হার কিছুটা কম মনে হলেও সেটা খুব হতাশাজনক না।

এ সময় বরিশাল ও বান্দরবান জেলা প্রশাসন ও প্রতিনিধিদের সঙ্গে ভিডিও কনফারেন্সের মাধ্যমে কথা বলেন প্রধানমন্ত্রী। ভিডিও কনফারেন্সে তিনি শিক্ষক ও শিক্ষার্থীদের সঙ্গেও মত বিনিময় করেন।

বান্দরবান জেলার প্রতিনিধিদের সঙ্গে কথা বলার সময় শেখ হাসিনা বলেন, পাহাড়ে শান্তিপূর্ণ অবস্থান বজায় রাখতে হবে। এখানে কে পাহাড়ি, কে বাঙালি সেটা বড় কথা না। মানুষকে মানুষ হিসেবেই দেখতে হবে। তাহলেই উন্নয়নের সুফল ভোগ করা সম্ভব হবে।

সরকার সারা দেশের মতো পার্বত্য অঞ্চলের উন্নয়নের ব্যাপারে সজাগ রয়েছে বলেও তিনি জানান। বরিশালে ভিডিও কনফারেন্সে কথা বলার সময় প্রধানমন্ত্রী বলেন, বরিশাল একসময় বাংলার শস্য ভাণ্ডার ছিল। আবারও বরিশালকে বাংলার শস্য ভাণ্ডার হিসেবে গড়ে তোলা হবে।

ছাত্রছাত্রীদের লেখাপড়ায় মনোযোগী হওয়ার আহ্বান জানিয়ে তিনি বলেন, লেখাপড়ার যথাযথ পরিবেশ সৃষ্টির জন্য যা যা করা দরকার তার সবই করছে সরকার। আমাদের ভবিষ্যত প্রজন্ম সুশিক্ষিত হয়ে দেশকে নেতৃত্ব দেবে সেটাই কামনা। আমরা চাই, তারা যেন উপযুক্ত নাগরিক হিসেবে গড়ে ওঠে।

শিক্ষামন্ত্রী নুরুল ইসলাম নাহিদ জানান, এবার দশ শিক্ষা বোর্ডে মোট পরীক্ষার্থী ছিল ২০ লাখ ২৬ হাজার ৫৭৪ জন। যেটা আগের বছর ছিল ১৭ লাখ ৮২ হাজার ৯৬২ জন। এ বছর পাস করেছে ১৫ লাখ ৭৬ হাজার ১০৪ জন। গতবার এ সংখ্যা ছিল ১৪ লাখ ৩১ হাজার ৭২২ জন।