দর্পণ ডেস্ক : খাবার রান্নায় আমরা সাধারণত সয়াবিন, অলিভ কিংবা নারিকেল তেল ব্যবহার করি। এক্ষেত্রে সরিষার তেলকে এড়িয়ে চলা হয়। সরিষার তেলের তীক্ততা ভুলে এর অনন্য স্বাদ-গন্ধকে আমলে নিন।

সুগন্ধিময় :

সরিষার তেলের ব্যবহারে আপনার খাবার হবে দারুণ সুগন্ধিময়। অন্য কোনো তেল ব্যবহারে এতটা সুগন্ধ পাবেন না।

হৃদরোগের ঝুঁকি কমায় :

সরিষার তেল ‘মনোসেচু্রেটেড’ ও ‘পলিআনসেচুরেটেড’ ফ্যাট সমৃদ্ধ। এই উপাদানগুলো রক্তে ক্ষতিকর কোলেষ্টেরল কমানোর পাশাপাশি উত্তম ‘এইচডিএল’ কোলেষ্টেরলের মাত্রা বাড়ায়। এর ফলে, আপনার রক্তের কোলেষ্টেরল নিয়ন্ত্রণে থাকবে,হার্ট থাকবে সুস্থ্যসবল, হৃদরোগে আক্রান্ত হওয়ার ঝুঁকি কমে যাবে অনেকটা।

পরিপাকতন্ত্রের সুরক্ষায় :

সরিষার তেলের রয়েছে ক্ষতিকর ব্যাকটেরিয়া-ভাইরাস-ফাঙ্গাসরোধী ধর্ম। এর ফলে, আপনার পরিপাকতন্ত্র ক্ষতিকর ওইসব জীবাণুর কবল থেকে সুরক্ষা পাবে।

পরিপাকরস নিঃসরণ :

সরিষার তেলে পর্যাপ্ত পরিমাণে ওমেগা-৩ ও ওমেগা-৬ ফ্যাটি এসিড এবং অল্প পরিমাণে ‘সেচুরেটেড’ ফ্যাট রয়েছে। এতে ৬০ শতাংশ ‘মনোসেচু্রেটেড’ ফ্যাটের পাশাপাশি ‘পলিআনসেচুরেটেড’ ফ্যাট থাকায় দারুণ স্বাস্থ্য হিতকর, যা অন্য খাবার-তেলগুলো থেকে পাবেন না।ওই উপাদানগুলো হার্ট, সংবহনতন্ত্র সুস্থ রাখার পাশাপাশি পরিপাকরস নি:সরণ বাড়াবে। এর ফলে খাবার খুব সহজে হজম হবে, বিপাকক্রিয়া বাড়বে।

ক্যান্সাররোধী :

বেশকয়েকটি গবেষণায় জানা গেছে, সরিষার তেলে রয়েছে লিনোলেনিক এসিড। এই এসিড যখন ওমেগা-৩ ফ্যাটি এসিডে রূপান্তরিত হয় তখন ক্যান্সারের বিরুদ্ধে লড়াই করে। তাই ক্যান্সার থেকে মুক্ত থাকতে চাইলে সরিষার তেল ব্যবহার করুন নিয়মিত।

ঠান্ডা থেকে সুরক্ষায় :

শীতকালে কিংবা ঠাণ্ডাজনিত যেকোন উপসর্গে সরিষার তেল দারুণ ফলদায়ক। কেননা, এই তেল শরীরের তাপমাত্রা বাড়ায়, ক্ষতিকর ঠাণ্ডাজনিত সমস্যা থেকে রক্ষা করে। সর্দিকাশিতে শরীরে এই তেল মালিশ করলে দারুণ উপকার পাবেন, সন্দেহ নেই।