দর্পন ডেস্ক : দক্ষিণ এশিয়ার প্রথম দেশ হিসেবে থাইল্যান্ডের পার্লামেন্ট গাঁজার ওপর বৈধতা দিয়েছে। দেশটিতে ১৯৩০ সাল পর্যন্ত শারীরিক ব্যথা ও ক্লান্তি দূর করার জন্য গাঁজা সেবন করা ছিল একটি প্রচলিত রীতি। পরে গাঁজা সেবন, পরিবহন এবং বাজারজাতকরণের বিষয়ে আইনি নিষেধাজ্ঞা আরোপ করা হয়।

মঙ্গলবার দেশটির সংসদে ১৯৭৯ সালের মাদক নিয়ন্ত্রণ আইন সংশোধনের মাধ্যমে এ বিষয়ে একটি বিল পাস হয়েছে। তবে আপাতত সেখানে গবেষণায় এবং ওষুধ বানানোর ক্ষেত্রে গাঁজা ব্যবহার করা হবে। নতুন বছরে জনগণের জন্য এটা একটি নতুন উপহার বলে উল্লেখ করা হয়েছে।

এর আগে ২০১২ সালে উরুগুয়ে বিশ্বের প্রথম দেশ হিসেবে বিনোদনমূলক ব্যবহারের জন্য গাঁজাকে বৈধ বলে ঘোষণা করে। সেবছরই যুক্তরাষ্ট্রের ওয়াশিংটন স্টেট আর কলোরাডোর প্রাপ্তবয়স্ক নাগরিকরা চিকিৎসা বাদে অন্যান্য কাজে ব্যবহারের জন্য গাঁজার ব্যবহারে বৈধতা দেয়ার নীতির সমর্থন করে।

যার ফলস্বরূপ ওয়াশিংটন ডিসিসহ আরো আটটি রাজ্যে গাঁজার বিনোদনমূলক ব্যবহার বৈধতা পায়। চলতি বছরের অক্টোবর মাস থেকে গাঁজা বিক্রি ও ব্যবহারকে বৈধতা দিয়েছে কানাডা সরকার। মেক্সিকোও গাঁজাকে বৈধতা দিতে যাচ্ছে। গাঁজাকে বৈধতা দিয়েছে অষ্ট্রেলিয়া এবং ইসরাইলও।

গাঁজা বিক্রি অবৈধ হলেও সামান্য পরিমাণে গাঁজা সাথে থাকা বর্তমানে অপরাধ বলে বিবেচিত হয় না ব্রাজিল, জ্যামাইকা ও পর্তুগালে। স্পেনে ব্যক্তিগতভাবে গাঁজা ব্যবহার বৈধ, আর নেদারল্যান্ডসের কফি শপগুলোতে গাঁজা বিক্রি করার অনুমতি রয়েছে।

আর চিকিৎসা কাজে গাঁজার ব্যবহার বৈধ করেছে অনেক দেশই। দক্ষিণ কোরিয়াও চিকিৎসা কাজে গাঁজার ব্যবহার বৈধ করেছে, তবে তা কঠোরভাবে নিয়ন্ত্রিত। প্রাপ্তবয়স্কদের জন্য ব্যক্তিগতভাবে গাঁজার ব্যবহার বৈধ করেছে দক্ষিণ আফ্রিকার আদালত।

চিকিৎসা কাজে ব্যবহারের জন্য গাঁজার চাষকে বৈধতা দেয়া প্রথম আফ্রিকান দেশ লেসোথো। অর্থনীতিকে সহায়তা করতে চিকিৎসা কাজে গাঁজার ব্যবহার বৈধ করার বিষয়ে চিন্তা করছে লেবানন। যুক্তরাজ্যে চিকিৎসা কাজে গাঁজার ব্যবহার বৈধতা পেলেও ব্রিটিশ স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের বক্তব্য অনুযায়ী বিনোদনমূলক ব্যবহার অবৈধই থাকবে।

দক্ষিণ এশিয়ার অনেক দেশই গাঁজা ব্যবহারকে অবৈধ এবং নিষিদ্ধ মনে করে। একই সঙ্গে অবৈধভাবে গাঁজা সেবন বা ব্যবহারের ক্ষেত্রে বিশ্বের সবচেয়ে কঠিন শাস্তির মুখোমুখিও হতে হয় দক্ষিণ এশিয়ার অনেক দেশেই। সিঙ্গাপুর, ইন্দোনেশিয়া এবং মালয়েশিয়ায় গাঁজা পাচারের সঙ্গে জড়িত থাকলে মৃত্যুদণ্ডও হতে পারে। ইন্টারনেট