দর্পণ ডেস্ক : বিগত বছরগুলো নারীদের মধ্যে গর্ভ ধারণের হার কমে গেছে আশঙ্কাজনক হারে। যুক্তরাষ্ট্র, যুক্তরাজ্যের মতো দেশগুলোতেও এই সমস্যা প্রকট হয়ে দাঁড়িয়েছে।

নেদারল্যান্ডস-এর দুই বিশ্ববিদ্যালয় ইউনিভার্সিটি মেডিকেল সেন্টার ও ওয়াগেনিনজেন ইউনিভার্সিটি’র যৌথ গবেষণায় এই সমস্যার সমাধান খোঁজার চেষ্টা করা হয়েছে। গবেষকেরা বলছেন, সামুদ্রিক মাছ, রঙিন শাকসবজি খাওয়ার মাধ্যমে এবং ফাস্ট ফুড এড়িয়ে চললে দ্রুত গর্ভধারণ সম্ভব।

জেনে নিন দ্রুত গর্ভ ধারণ করতে কী খাওয়া উচিৎ আর কী খাওয়া উচিৎ নয়।

১. সামুদ্রিক মাছ

গবেষণায় দেখা গেছে যারা সপ্তাহে একবার সামুদ্রিক মাছ খান তাদের যারা খান না, তাদের তুলনায় গর্ভধারণের সম্ভাবনা ৯২ শতাংশ বেড়ে যায়। কেবল তাই নয়, অকালে গর্ভপাত বা স্বল্পমেয়াদের গর্ভাবস্থার মতো গুরু সমস্যা কাটাতেও সহায়তা করে সামুদ্রিক মাছ। এছাড়াও মাতৃত্বকালীন হরমনজনিত সমস্যার সমাধানেও দ্রুত কাজ করে এটি।

২. দুধ এবং দুগ্ধজাত খাবার

শরীরে মেদ নিয়ন্ত্রণের জন্য অনেকেই পনির বা ক্রিম জাতীয় খাবার খেতে চান না। অথচ’ গর্ভধারণে এগুলোই সবচেয়ে কার্যকরী। বিশেষ করে প্রতিদিন সয়াবিন তেলের বদলে যদি পরিমিত পরিমানে ঘি খাওয়া যায়, তাহলে সেটি গর্ভধারণের জন্য হয় দ্বিগুণ সহায়ক!

৩. রঙিন শাক-সবজি ও ফল

রঙিন শাক-সবজি ও ফলে সাধারণত ফাইবারে পরিপূর্ণ হয়। তাই গর্ভধারণে এগুলো খুবই সহায়ক। এছাড়াও রক্তে চিনির পরিমাণ এটি নিয়ন্ত্রণে রাখে, যেটি গর্ভধারণে সহায়তা করে।

৪. ধূমপান, মদ্যপান ও কফি পান এড়িয়ে চলুন

চা-কফি ও সিগারেটে থাকে ক্যাফেইন, যা শরীরে আয়রন এবং ক্যালসিয়ামের পরিমাণ কমিয়ে দেয়। শরীরে এই উপদানগুলোর কমতি দেখা দিলে তা গর্ভধারণের জন্য শরীরকে প্রস্তুত হতে বাধা দেয়। আর মদ্যপান নারীদের জন্য ক্ষতির কারণ না হলেও পুরুষদের ক্ষেত্রে শুকাণুর কার্যক্ষমতা কমিয়ে দেয়। ফলে গর্ভধারণের সম্ভাবনা হ্রাস পায়।

৫. এড়িয়ে চলুন ফাস্ট ফুড

দোকানে তৈরি বারগার, পিজ্জা বা ফ্রায়েড চিকেন খেতে যতোটা সুস্বাদু হোক না কেন, শরীরের জন্য এগুলো বড্ড ক্ষতিকর। এ ধরণের খাবারের বদলে যারা ফল খান বেশি বেশি, তাদের গর্ভধারণের ক্ষমতা বেশি।