দর্পণ ডেস্ক : গত শনিবার ফিলিস্তিনি প্রেসিডেন্ট আব্বাস হামাসের নিয়ন্ত্রণে থাকা পার্লামেন্ট ভেঙে দেওয়ার ঘোষণা দেন। রামাল্লায় ফিলিস্তিনি নেতাদের সঙ্গে বৈঠকে আব্বাস বলেন, ‘এ ইস্যু সাংবিধানিক আদালতে পৌঁছেছে। সেখান থেকে ফিলিস্তিনি আইন পরিষদ ভেঙে দেওয়ার রায় এসেছে এবং ছয় মাসের মধ্যে নির্বাচন আয়োজন করতে বলা হয়েছে। আমাদেরকে তা অবিলম্বে বাস্তবায়ন করতে হবে’। এ পদক্ষেপ হামাসের ওপর আরও বেশি করে চাপ প্রয়োগে সহায়তা করবে বলে মনে করা হচ্ছে।
আব্বাসের এ ঘোষণায় ক্ষোভ জানিয়েছে হামাস। পার্লামেন্ট ভেঙ্গে দেওয়া হলে বিশৃঙ্খলার হুঁশিয়ারি দিয়েছে গাজার শাসনে থাকা সংগঠনটি।
ফিলিস্তিনের বিধান অনুযায়ী, প্রতি চার বছর পর পর পার্লামেন্ট নির্বাচন অনুষ্ঠানের কথা। কিন্তু সেখানে সর্বশেষ পার্লামেন্ট নির্বাচন অনুষ্ঠিত হয়েছে ১২ বছর আগে, ২০০৬ সালে। সেসময় হামাস নিরঙ্কুশ বিজয় অর্জন করে এবং পরবর্তীতে ফাতাহ’র সঙ্গে তাদের বিবাদ শুরু হয়। হামাসের তুমুল প্রতিরোধের মুখে ২০০৭ সালে গাজার নিয়ন্ত্রণ হারায় পশ্চিমা সমর্থিত রাজনৈতিক দল ফাতাহ। সেসময় থেকে পশ্চিম তীর এবং অবরুদ্ধ গাজা উপত্যকা রাজনৈতিকভাবে বিভক্ত হয়ে রয়েছে। গাজার নিয়ন্ত্রণে হামাস আর পশ্চিম তীরে শাসন পরিচালনা করছে ফাতাহ। গাজা উপত্যকা ও পশ্চিম তীরে একটি মতৈক্যের সরকার কার্যকর করতে গত বছরের অক্টোবরে ফাতাহ ও হামাস একটি সমঝোতা চুক্তি স্বাক্ষর করে। মূলত গাজা উপত্যকায় ইসরায়েল ও মিসরের অব্যাহত অবরোধ, ফাতাহ সরকারের তৈরি বিদ্যুৎ সংকট এবং সরকারি কর্মকর্তাদের বেতন না দেওয়ার মুখে কিছুটা দুর্বল হয়ে পড়ে হামাস। এমন পরিস্থিতি ফিলিস্তিনের স্বাধীনতাকামী এ দলটিকে পশ্চিমা সমর্থিত ফাতাহ’র সঙ্গে চুক্তিতে উপনীত হতে বাধ্য করে। চুক্তি অনুযায়ী, ২০১৭ সালের ১ ডিসেম্বরের মধ্যেই কাজ শুরুর কথা ছিল। তবে বিভিন্ন ইস্যুতে সমঝোতা না হওয়ায় পরিকল্পনাটির বাস্তবায়ন স্থগিত রয়েছে।