দর্পণ ডেস্ক : আসন্ন একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে অংশ নেবেন না টাঙ্গাইল-৪ আসনের স্বতন্ত্র প্রার্থী সাবেক মন্ত্রী আবদুল লতিফ সিদ্দিকী।

রোববার দুপুরে রাজধানীর আগারগাঁওয়ে নির্বাচন কমিশনে গিয়ে প্রধান নির্বাচন কমিশনার (সিইসি) কে এম নুরুল হুদার সঙ্গে দেখা করে নির্বাচন থেকে সরে দাঁড়ানোর এ ঘোষণা দেন তিনি। এ সময় সাংবাদিকদের লতিফ সিদ্দিকী বলেন, ‘দেশে নির্বাচনের কোনো পরিবেশ নেই, আমার কারণে আমার নেতাকর্মীরা মার খাবে তা আমি মেনে নিতে পারব না। তাই আমি নিজেই নির্বাচন থেকে সরে যাচ্ছি।’

লিখিত এক বক্তব্যে তিনি জানান, ‘অত্যন্ত ভারাক্রান্ত হৃদয়ে জানাচ্ছি যে আমি ১৩৩ টাঙ্গাইল-৪ জাতীয় সংসদ আসনে একজন স্বতন্ত্র প্রার্থী হিসেবে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছিলাম। কিন্তু পরিস্থিতি এতটাই ভয়াবহ যে নির্বাচন করার পরিবেশ নেই। নির্বাচনী প্রতিদ্বন্দ্বিতা হয় রাজনৈতিক দলে, নেতায় নেতায়, জনমতকে পক্ষে পাওয়ার জন্য থাকে ঐকান্তিক প্রচেষ্টা। কিন্তু বর্তমান সংসদ সদস্য বালু ব্যবসায়ী এবং মাদক ব্যবসায়ীদের সাথে নিয়ে পুলিশের ছত্রছায়ায় আমার ওপর হামলা করে গাড়ি ভাঙচুর করে। এতে ২০/২১ জন সমর্থক আহত হয়’।

প্রসঙ্গত, নির্বাচনী প্রচারে বাধা দেওয়া, গাড়িবহরে হামলা ও ভাংচুরের প্রতিবাদে গত ১৬ ডিসেম্বর টাঙ্গাইল জেলা প্রশাসক ও রিটার্নিং কর্মকর্তার কার্যালয়ের সামনে অবস্থান ও অনশন কর্মসূচি শুরু করেন তিনি। অনশনের মধ্যে অসুস্থ হয়ে পড়লে তাকে টাঙ্গাইল জেনারেল হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। সেখানে প্রাথমিক চিকিৎসা দেওয়া হয়। লতিফ সিদ্দিকী বিএসএমএমইউতে চিকিৎসা নেওয়ার আগ্রহ প্রকাশ করলে গত ১৯ ডিসেম্বর অ্যাম্বুলেন্সে তাকে ঢাকায় পাঠানো হয়।

বর্ষীয়ান এ রাজনীতিবিদ ১৯৭০ সালে প্রাদেশিক পরিষদের সদস্য ছিলেন। পরে ১৯৭৩, ১৯৯৬, ২০০৮ ও ২০১৪ সালে সংসদ সদস্য নির্বাচিত হন। ২০০৮ সালে পাট ও বস্ত্রমন্ত্রী এবং ২০১৪ সালে ডাক ও টেলিযোগাযোগ মন্ত্রী হন তিনি। মুক্তিযুদ্ধের সংগঠক সাবেক এ মন্ত্রী নিউইয়র্কে হজ ও তাবলিগ জামাত নিয়ে আপত্তিকর বক্তব্য দেওয়ায় মন্ত্রিত্ব হারানোর পাশাপাশি আওয়ামী লীগ থেকে বহিস্কৃত হন। পরে সংসদ সদস্য পদ থেকেও পদত্যাগ করেন।