অনলাইন ডেস্ক : চট্টগ্রামে বেসরকারি প্রিমিয়ার বিশ্ববিদ্যালয়ের এক ছাত্রীকে বাসে চালক ও সহকারী যৌন হয়রানি করেছেন বলে অভিযোগ উঠেছে। শনিবার ১০টার দিকে নগরের বন্দর থানার সল্টগোলা ক্রসিং এলাকায় এ ঘটনা ঘটে। পরে দুপুর দেড়টার দিকে তার সহপাঠীরা ১০ নম্বর রুটের বাসটি শনাক্ত করে নগরের ওয়াসা মোড় এলাকায় ভাংচুর চালায়।

এসময় চালক মো. রাসেল ও সহকারী মো. হানিফকে আটক করে পুলিশের হাতে তুলে দেন বিক্ষুব্ধ শিক্ষার্থীরা। বাসটিও আটক করা হয়েছে। ঘটনার পর মুষড়ে পড়েছেন বিশ্ববিদ্যালয়টির ওই ছাত্রী।

ওই ছাত্রীর সহপাঠী নাইমুর রহমান  জানান, পতেঙ্গা কাঠগড়ের বাসা থেকে হাজারী লেইনে বিশ্ববিদ্যালয়ের আইন অনুষদে পরীক্ষায় অংশ নিতে আসছিলেন তিনি। নেভি গেইট থেকে যখন তিনি বাসে ওঠেন তখন বাইরে ঝুম বৃষ্টি হচ্ছিল। গাড়িতে তিনি ছাড়া আরও চারজন পুরুষ যাত্রী ছিলেন। বাসে ওঠার পর থেকেই চার যাত্রী, চালক ও সহকারী বিভিন্ন ধরনের অশ্লীল অঙ্গভঙ্গি এবং কথাবার্তার মাধ্যমে তাকে উত্যক্ত করছিল। তাদের এমন আচরণে ভয় পেয়ে নেমে যেতে চাইলে চালকের সহকারী দরজায় হাত দিয়ে তাকে আটকে দেয়। এ সময় তার গায়েও হাত দেয় চালকের সহকারী। সল্টগোলা এলাকায় পৌঁছালে চালকের সহকারীকে ঘুষি মেরে চলন্ত বাস থেকে লাফ দিয়ে নেমে যান ওই ছাত্রী।

এ ঘটনা ক্যাম্পাসে জানাজানি হলে নগরের ওয়াসার মোড়ে অবস্থান নেয় বিশ্ববিদ্যালয়টির শিক্ষার্থীরা। সেখানে যৌন হয়রানির শিকার ছাত্রীটিও ছিলেন। তারা বাসটি খুঁজতে থাকেন। একপর্যায়ে বাসটি শনাক্ত করেন ওই ছাত্রী। এসময় তার সহপাঠীরা বাসটি আটক করে ভাংচুর করে। বাস চালক ও সহকারীকে ধরে চকবাজার থানায় নিয়ে যাওয়া হয়।

এ প্রসঙ্গে চকবাজার থানার উপ পরিদর্শক মো. সালেহ উদ্দিন সমকালকে বলেন, ‘প্রিমিয়ার বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরা তাদের এক সহপাঠীকে যৌন হয়রানির অভিযোগে বাসের চালক ও সহকারীকে ধরে এনেছে। বাসটিও আটক করা হয়েছে। ঘটনাটি তদন্ত করে বাস চালক ও সহকারীর বিরুদ্ধে আইনি ব্যবস্থা নেওয়া হবে।’