দর্পন ডেস্ক : অস্ট্রিয়ার মন্ত্রী এলিজাবেথ ক্যোস্টিঙ্গার জানিয়েছেন, একবার ব্যবহার হয় এমন প্লাস্টিক পণ্য ব্যবহারের ওপর নিষেধাজ্ঞায় ইউরোপীয় ইউনিয়নের (ইইউ) সাংসদরা একমত হয়েছেন। অবশ্য চুক্তিটি কার্যকর হতে হলে ইইউ’র সব সদস্য রাষ্ট্র ও সংসদে সেটি পাস হতে হবে। আগামী দুই বছরের মধ্যে নিষেধাজ্ঞা কার্যকর হতে পারে বলে আশা করা হচ্ছে। মে মাসে ইউরোপীয় কমিশন এই প্রস্তাব করেছিল। খবর ডয়চে ভেলের।

ইউরোপীয় ইউনিয়নের বর্তমান সভাপতি হিসেবে দায়িত্ব পালন করছে অস্ট্রিয়া। দেশটির টেকসই ও পর্যটনমন্ত্রী ক্যোস্টিঙ্গার বুধবার এক টুইটবার্তায় এই চুক্তিকে একটি ‘মাইলস্টোন’ হিসেবে উল্লেখ করেছেন।

এক জরিপে দেখা গেছে, ইইউভুক্ত দেশগুলোতে সমুদ্রে পতিত ওয়ান-টাইম ব্যবহারের প্লাস্টিকের মধ্যে রয়েছে শতকরা ২২.০৫ ভাগ সিগারেটের বাট, বোতল ১৯.৩১ ভাগ, ফুড কন্টেইনার ১৪.১৪ ভাগ, কটন বাড স্টিক ১৩.৭০ ভাগ, পানির বোতল ৭.৭৮ ভাগ, টিস্যু ৮.০৮ ভাগ, প্লাস্টিকের ব্যাগ ৭.০১ ভাগ, কাটলারি ৪.২৪ ভাগ, কাপ ও কাপের ঢাকনা ২.০১ ভাগ এবং অন্যান্য ০.৫৭ ভাগ।

মে মাসে ইউরোপীয় কমিশন একবার ব্যবহার হয় এবং যেসব ক্ষেত্রে নন-প্লাস্টিক বিকল্প আছে এমন প্লাস্টিক পণ্য ব্যবহারের ওপর নিষেধাজ্ঞার প্রস্তাব করেছিল। এ জাতীয় প্লাস্টিক পণ্যের মধ্যে আছে প্লেট, স্ট্র, চামচ, কাপ, বেলুনের স্টিক, কান পরিষ্কার করার ‘কটন বাড’, প্লাস্টিকের হালকা ব্যাগ, ফাস্ট-ফুড বিক্রির সময় দেয়া পলিস্টাইরিনের কনটেনার ইত্যাদি।

ইউরোপীয় কমিশন বলছে, সাগরে যেসব বর্জ্য ফেলা হয় তার ৮০ শতাংশই প্লাস্টিক। এ ছাড়া মোট প্লাস্টিক বর্জ্যের তিনভাগের একভাগেরও কম বর্জ্য সংগ্রহ ও রিসাইকল করা হয় বলে জানায় কমিশন। বাকিগুলোর বেশিরভাগই সাগরে গিয়ে পড়ে, যা মাছসহ সাগরের অন্যান্য প্রাণীর জন্য হুমকি হয়ে উঠছে।