সাইফুল্লাহ নাসির, বরগুনা প্রতিনিধিঃ বরগুনা-১ (সদর-আমতলী-তালতলী) আসনে আওয়ামীলীগ মনোনিত প্রার্থী এ্যাড. ধীরেন্দ্র দেবনাথ শম্ভূর সমর্থনে উঠান বৈঠকের আয়োজন করায় ক্ষিপ্ত হয়ে বিএনপি নেতা ডাঃ এমএ খালেক নিজাম,জাকির হাওলাদার ও তার লোকজন আবুল কালাম প্যাদার স্ত্রী বকুল বেগম ও চাচা শানু ফকিরকে মারধর করেছে।এ ঘটনায় আমতলী  থানায় মামলা হয়েছে। পুলিশ আসামী জাকির হাওলাদারকে গ্রেফতার করে জেল হাজতে পাঠিয়েছে। ঘটনা ঘটেছে উপজেলার উত্তর তারিকাটা গ্রামে মঙ্গলবার সন্ধ্যায়।
জানা গেছে, উপজেলার আড়পাঙ্গশিয়া ইউনিয়নের উত্তর তারিকাটা গ্রামের আবুল কালাম প্যাদার বাড়ীতে বরগুনা-১ (সদর-আমতলী-তালতলী) আসনের আওয়ামীলীগ মনোনিত প্রার্থী এ্যাড.ধীরেন্দ্র দেবনাথ শম্ভুর সমর্থনে নৌকার প্রতিকের  উঠান বৈঠক ১৪ ডিসেম্বর অনুষ্ঠিত হয়। ওই বৈঠকে বরগুনা জেলা মহিলা লীগ সভাপতি মাধবী দেবনাথসহ জেলা ও উপজেলা নেতৃবৃন্দ উপস্থিত ছিলেন। ওই বাড়ীতে নৌকার সমর্থনে বৈঠক হওয়ায় ক্ষিপ্ত হয় বিএনপি নেতা ডাঃ এমএ খালেক নিজাম, জাকির হাওলাদার ও তার সহযোগীরা। ঘটনার দিন সন্ধ্যায় জাকির হাওলাদার ও তার লোকজন আবুল কালাম প্যাদার স্ত্রী পাঁচ মাসের অন্তঃস্বত্তা বকুল বেগমকে ধারালো অস্ত্র দিয়ে কুপিয়ে গুরুতর জখম করে। তাকে রক্ষায় শানু  ফকির এগিয়ে গেলে তাকেও কুপিয়ে আহত করে। স্থানীয় লোকজন তাদের উদ্ধার করে আমতলী উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে আসে। ওই হাসপাতালের  কর্তব্যরত চিকিৎসক তাদের উন্নত চিকিৎসার জন্য বরিশাল শেবাচিম হাসপাতালে প্রেরণ করেছে। এ ঘটনায় ওইদিন রাতে আবুল কালাম প্যাদা বাদী হয়ে আমতলী থানায় মামলা দায়ের করেন। পুলিশ জাকির হাওলাদারকে ঘটনাস্থল থেকে গ্রেফতার করে।

আবুল কালাম প্যাদা জানান, আওয়ামীলীগ প্রার্থীর সমর্থনে আমার বাড়ীতে উঠান বৈঠক করায় ক্ষিপ্ত হয় বিএনপি নেতা ডাঃ এমএ খালেক নিজাম, জাকির হাওলাদার ও তার লোকজন। পরে তারা আমার পাচ মাসের অন্তঃস্বত্তা স্ত্রীকে ধারালো অস্ত্র দিয়ে  কুপিয়ে গুরুতর আহত করেছে। আমি   এঘটনার  বিচার চাই।

আড়পাঙ্গাশিয়া ইউনিয়ন আওয়ামীলীগ সভাপতি মোঃ মাহবুবুর রহমান জাফর বিশ্বাস বলেন, ওই উঠান বৈঠকটি আমার সভাপতিত্বে হয়েছে। ওই বাড়ীতে সভা করায় ক্ষিপ্ত হয়ে আবুল কালাম প্যাদার স্ত্রী বকুল বেগম ও তার চাচা শানু ফকিরকে বিএনপি নেতারা মারধর করেছে।
আমতলী উপজেলা মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান মাকসুদা আকতার জোসনা বলেন, ওই বৈঠকে আমিও  উপস্থিত ছিলাম। পরে শুনেছি বৈঠকের কারনে বিএনপি নেতারা আবুল কালাম প্যাদার স্ত্রীকে মারধর করেছে।

বিএনপি নেতা ডাঃ এমএখালেক নিজাম মারধরের কথা স্বীকার করে বলেন, জমি নিয়ে  বিরোধের কারনে মারধর হয়েছে কিন্তু আওয়ামীলীগের সমর্থনে উঠান বৈঠকের কারনে কোন মারধর হয়নি।

আমতলী থানার ওসি মোঃ আলাউদ্দিন মিলন বলেন, মারধরের ঘটনায় থানায়  মামলা হয়েছে। একজনকে গ্রেফতার করে  জেল হাজতে পাঠানো হয়।