দর্পণ ডেস্ক : বাংলাদেশ ওয়েস্ট ইন্ডিজের বিপক্ষে ‘ট্রেবল’ জয়ের আশায় শুরুতেই ধাক্কা খেল। সফরকারী ওয়েস্ট ইন্ডিজের বিপক্ষে টেস্ট এবং ওয়ানডে সিরিজ জিতলেও টি-২০ সিরিজ শুরু করেছে হার দিয়ে। ওয়ানডে সিরিজে কেমো পল-ওসানে থমাসদের খেলার অভিজ্ঞতা ছিল বাংলাদেশের। কিন্তু শেলডম কটরেলকে খেলার অভিজ্ঞতা ছিল না। টি-২০ সিরিজে এসে তিনিই ধসিয়ে দিয়েছেন বাংলাদেশ ব্যাটসম্যানদের।
এর আগে ব্যাট হাতে প্রথমে মামুলি সংগ্রহ করে বাংলাদেশ। সংগ্রহটা মামুলি বানিয়ে ফেলে সফরকারী ওয়েস্ট ইন্ডিজ। বাংলাদেশের দেওয়া ১৩০ রানের লক্ষ্যে শুরুতে দুই ওপেনার ঝড় তোলে। শাই হোপের তান্ডবে কাঁপন ধরে বাংলাদেশ বোলারদের। এ ম্যাচে তৃতীয় দ্রুততম টি-২০ ফিফটি তুলে নেন ওয়েস্ট ইন্ডিজ ওপেনার শাই হোপ। তিনি ফেরেন ২৩ বলে ৫৫ রান করে।
ওয়ানডে সিরিজে জোড়া সেঞ্চুরি করেন হোপ। কিন্তু শেষ ম্যাচটায় সেঞ্চুরি করেও দলকে জেতাতে পারেননি তিনি। এরপর প্রথম টি-২০ ম্যাচে ইনজুরি নিয়ে খেলা নিয়ে সামান্য শঙ্কা ছিল। কিন্তু ব্যাট হাতে তিনি যা দেখালেন মিরাজ-আবু হায়দাররা মনে রাখবেন তাকে। তিনি আউট হওয়ার পরে নিকোলাস পুরান ২৩ রান অপরাজিত থাকেন। আর কেমো পল শেষটায় দেখান আরেক ঝড়। তিনি খেলেন ১৪ বলে ২৮ রানের ইনিংস। এছাড়া ওপেনার এভিন লুইস ১৮ রান করে আউট হন।
এর আগে বাংলাদেশ দল ছয় বল হাতে রেখে ১২৯ রানে অলআউট হয়ে যায়। বাংলাদেশের হয়ে টি-২০ অধিনায়ক সাকিব আল হাসান ৪৩ বলে ৬১ রান করে ফেরেন। এছাড়া আরিফুল হক করেন ১৭ রান। মাহমুদুল্লাহ ১২ রান করে ফেরেন। বাংলাদেশের অন্য কোন ব্যাটসম্যান ১০ রানের কোটায় উঠতে পারেনি। ওয়েস্ট ইন্ডিজের হয়ে শেলডম কটরেল নেন ৪ উইকেট। ম্যাচ সেরা হন তিনি।
স্বাগতিক বাংলাদেশের বিপক্ষে শাই হোপ ক্যারিয়ার সেরা ইনিংস (দুটি সেঞ্চুরি) খেলেন ওয়ান ডে ম্যাচে । টি-২০-তে ও ক্যারিয়ার সেরা হাফ (১৬ বলে ৫০) সেঞ্চুরি করেন বাংলাদেশের বিপক্ষে।