অনলাইন ডেস্ক : ‘মা ও শিশু স্বাস্থ্যের মানসম্মত সেবা প্রদানে মিডওয়াইফ এগিয়ে’ এই প্রতিপাদ্যকে সামনে রেখে বিশ্বের অন্যান্য দেশের ন্যায় আজ শনিবার বাংলাদেশেও পালন করা হচ্ছে আন্তর্জাতিক মিডওয়াইফ দিবস। দিবস উপলক্ষ্যে রাষ্ট্রপতি ও প্রধানমন্ত্রী পৃথক বাণী দিয়েছেন।

রাষ্ট্রপতি মো. আবদুল হামিদ তার বাণীতে উল্লেখ করেছেন, গর্ভবতী মা ও নবজাতকের স্বাস্থ্যপরিচর্যা ও মৃত্যুহার হ্রাসে প্রশিক্ষিত মিডওয়াইফরা গুরুত্বপূর্ণ অবদান রাখে। বিশেষ করে একজন মায়ের পরিবার পরিকল্পনা থেকে শুরু করে গর্ভধারণ, সন্তান প্রসব ও প্রসব পরবর্তী সেবা প্রদানে মিডওয়াইফ অগ্রণী ভূমিকা রাখতে পারে। তিনি আন্তর্জাতিক মিডওয়াইফ দিবস উপলক্ষে গৃহীত সকল কর্মসূচির সার্বিক সফলতা কামনা করেন।

প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা প্রত্যন্ত অঞ্চলে মা ও শিশুর মানসম্মত স্বাস্থ্যসেবা পৌঁছে দিতে মিডওয়াইফদের আরো গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালনের আহবান জানিয়েছেন। প্রধানমন্ত্রী তার বাণীতে উল্লেখ করেছেন, বর্তমান সরকার জনগণের দোরগোড়ায় স্বাস্থ্যসেবা পৌঁছে দিতে ব্যাপক কর্মসূচি বাস্তবায়ন করে যাচ্ছে। গর্ভবতী মা ও নবজাতকের উন্নত পরিচর্যা ও মৃত্যুহার রোধে বহুমুখী পদক্ষেপ গ্রহণ করা হয়েছে।

ফলে নির্দিষ্ট সময়ের পূর্বেই শিশু মৃত্যুর হার কমিয়ে সহস্রাব্দ উন্নয়ন লক্ষ্যমাত্রা অর্জন করতে সক্ষম হয়েছে। এজন্য ২০১০ সালে জাতিসংঘ ‘এমডিজি অ্যাওয়ার্ড’ প্রদান করে। সরকারি ৩৮টি নার্সিং শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে এবং বেসরকারি ১৬টি নার্সিং শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে ৩ বছর মেয়াদি ডিপ্লোমা ইন মিডওয়াইফারি কোর্স চালু আছে। এছাড়াও তিন হাজার মিডওয়াইফ পদ সৃষ্টিসহ মিডওয়াইফ শিক্ষাকে প্রাতিষ্ঠানিক রূপ দিতে নানা উদ্যোগ গ্রহণ করা হয়েছে। মা ও শিশুর স্বাস্থ্যসেবা নিশ্চিত করতে সকল জেলা-উপজেলার স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স ও ইউনিয়ন সাব-সেন্টারে পর্যায়ক্রমে প্রশিক্ষিত মিডওয়াইফ নিয়োগ দেয়া হবে।