দর্পণ ডেস্ক : রক্তের গ্রুপ নির্ধারণ করা না গেলে বহু মানুষকে অকালে মৃত্যুবরণ করতে হতো। স্বাস্থ্যের ওপরও কিন্তু রক্তের গ্রুপের প্রভাব আছে। অনেকে বিশ্বাস করেন যে রক্তের গ্রুপ জানলে ব্যক্তিত্ব সম্পর্কেও আঁচ করা যায়। বিশেষ করে ‘o’ গ্রুপের সদস্যদের উপর এসব প্রভাব বেশী।

রক্তের গ্রুপ যেভাবে স্বাস্থ্যে প্রভাব ফেলে: রক্তের গ্রুপ নির্ধারণ করা হয় কিছু অ্যান্টিজেন উপস্থিতি পরিমাপের মাধ্যমে। এন্টিজেন সুনির্দিষ্ট এন্টিবডির সাথে যুক্ত হয়। এন্টিবডি রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা সৃষ্টি করে। তাই এই অ্যান্টিজেনগুলি রোগপ্রতিরোধ ব্যবস্থাকে আক্রমণ করতে পারে। এই কারণে রক্তের ধরন এবং স্বাস্থ্যের সঙ্গে রক্তের গ্রুপের সম্পর্ক সম্পর্কে জেনে রাখা গুরুত্বপূর্ণ।

সবাইকে রক্ত দেয়া যায়: যাদের রক্তের গ্রুপ ‘o’ পজিটিভ, তারা ও ব্লাড গ্রুপ ছাড়াও ‘A’, ‘B’, ‘AB’ পজিটিভ গ্রুপকে ব্লাড
দিতে পারে।

স্বাস্থ্য ঝুঁকি: গবেষকদের মতে, রক্তের গ্রুপ যাদের ‘o’, তাদের ব্যাকটেরিয়াল ও ভাইরাল ইনফেকশন হওয়ার সম্ভাবনা অন্যদের তুলনায় বেশী থাকে। বিশেষ করে প্লেগ, কলেরা, মাম্পস, যক্ষ্মার মতো ছোঁয়াচে রোগে আক্রান্ত হওয়ার ঝুঁকি বেশী থাক। এছাড়াও সর্দি-কাশির মতো সাধারণ ছোঁয়াচে রোগে আক্রান্ত হওয়ার প্রবণতাও বেশী থাকে এই গ্রুপের।

‘o’ গ্রুপ হওয়ার সুবিধা: ‘o’ গ্রুপের সদস্য হওয়ার সুবিধা হলো হার্টের অসুখ হওয়ার সম্ভাবনা কম থাকে। অন্যান্য গ্রুপের তুলনায় ‘o’ গ্রুপের সদস্যদের রক্তনালীতে চর্বি জমার সম্ভাবনা কম। এছাড়াও অগ্নাশয়ের ক্যানসারে আক্রান্ত হওয়ার ঝুঁকি অন্যদের তুলনায় ৩৫% কম। তবে এজন্য অবশ্যই স্বাস্থ্যকর জীবনযাপন করা জরুরী।

ব্যক্তিত্ব: বৈজ্ঞানিক কোনো ভিত্তি না থাকলেও জাপানে বিশ্বাস করা হয়, রক্তের গ্রুপের প্রভাব ব্যক্তিত্ব এবং সম্পর্কে পড়ে। জাপানের বিশ্বাস অনুসারে ‘o’ গ্রুপের মানুষেরা অনেক বেশী উদার, উৎসাহী, সামাজিক হয়। আর্থিক দিক দিয়েও সচ্ছল থাকে। তবে সম্পর্কের ক্ষেত্রে ‘o’ গ্রুপের সদস্যদেরকে ‘o’ গ্রুপের সঙ্গী বেছে নিতে নিষেধ করা হয় জাপানে। তাদের মতে ‘A’ গ্রুপের সঙ্গে ‘o’ গ্রুপ জুটি হলো ‘পারফেক্ট’