দর্পণ ডেস্ক : জাতীয় নির্বাচন সামনে রেখে পার্টি চেয়ারম্যান এরশাদের অবস্থান নিয়ে রহস্য দেখা দিয়েছে। গত কয়েক দিন ধরে প্রেসিডেন্ট পার্কে অবস্থান করলেও তার সঙ্গে পার্টির নেতাকর্মীরা যোগাযোগ করতে পারছেন না বলে তথ্য পাওয়া গেছে। এই অবস্থায় হঠাৎ পার্টির মহাসচিব বদল রহস্যজনক বলে মন্তব্য অনেকের।
মনোনয়ন বাণিজ্যের অভিযোগ ওঠার পর এরশাদ ক্ষুব্ধ হয়ে এবিএম রুহুল আমিন হাওলাদারকে সরিয়ে দিয়েছেন নাকি অন্য কোনো চাপে করেছেন, তাও পরিষ্কার নয় নেতাকর্মীদের কাছে। আবার তাকে বিদেশ পাঠানোর আলোচনার মধ্যেও রহস্য খুঁজছেন অনেকে।
গতকাল এরশাদ এক আদেশে রাঙাকে মহাসচিব পদে দায়িত্ব দেন। আদেশের চিঠিতে এরশাদ উল্লেখ করেন, ‘জাতীয় পার্টির গঠনতন্ত্রের ২০/১/ক ধারা মোতাবেক এই সিদ্ধান্ত গ্রহণ করা হয়েছে- যা সোমবার সকাল থেকে কার্যকর হয়েছে। সেখানে আরো বলা হয়েছে, পার্টির প্রেসিডিয়াম সদস্যের পাশাপাশি আপনি মহাসচিব পদে অতিরিক্ত দায়িত্ব পালন করবেন।
পার্টির সিনিয়র এক নেতা বলেন, স্যারের সঙ্গে আমি দেখা করতে গিয়েও পারিনি। তার সঙ্গে কারো সাক্ষাৎ নেই। রুহুল আমিন হাওলাদারকে মহাসচিব পদ থেকে সরিয়ে দেয়ার ব্যাপারে জানতে চাইলে বলেন, তিনি পার্টির এত বড় ক্ষতি করেছেন, যা বলার নয়। জাপাকে অনেকটা শেষ করে দিয়েছেন। স্যার ক্ষোভে কারো সঙ্গে দেখা করছেন না। আরেকজন জানান, স্যার হাসপাতালে চিকিৎসাধীন থাকা অবস্থায়ই পার্টির দু’জন নেতার সঙ্গে সাক্ষাৎ বন্ধ করে দিয়েছেন। এরপরে বাসায় এসে অনেক নেতা ফিরে যাচ্ছেন। তিনি আরো বলেন, পার্টি ঘুরে দাঁড়াতে পারবে কিনা কে জানে। তাহলে পার্টির ভবিষ্যৎ কি জানতে চাইলে বলেন, স্যার প্রকাশ্যে এসে কথা বললেই সেটা পরিষ্কার হতো।