দর্পণ ডেস্ক : বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী বলেছেন, একতরফা ও গায়ের জোরে নির্বাচন করতে এবং জোর করে ক্ষমতায় থাকতেই বেছে বেছে জনপ্রিয় প্রতিনিধিদের মনোনয়নপত্র বাতিল করা হয়েছে।

গতকাল রাজধানীর নয়াপল্টনে বিএনপির কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে এক সংবাদ সম্মেলনে তিনি এ অভিযোগ করেন।

তিনি বলেন, বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়ার মনোনয়নপত্র বতিলের ঘটনা সরকারের নীলনকশা বাস্তবায়নের কলাকৌশল। এটা উদ্দেশ্যপ্রণোদিত ও দুরভিসন্ধিমূলক। দেশনেত্রী খালেদা জিয়ার যে বিপুল জনপ্রিয়তা, সেই জনপ্রিয়তা থেকে তাকে দূরে সরানোর যে মাস্টারপ্লান সরকার করেছে, এটা নীলনকশার অংশ।

রিজভী বলেন, এর মাধ্যমে নির্বাচন কমিশন নির্বাচনী আচরণবিধি লঙ্ঘন করেছে। এসব বিচ্ছিন্ন ঘটনা নয়, ধারাবাহিক ঘটনা।

রিজভী বলেন, সরকার ক্ষমতার মায়ায় ও নেশায় যেভাবে বুঁদ হয়ে আছে সেখানে তারা কখনো অবাধ সুষ্ঠু নির্বাচন করতে চাইবে না। তারপরও সকল বাঁধ ভেঙে জনগণ এগিয়ে আসবে। গণতন্ত্রের জয়গান গাইতে গাইতেই স্বৈরাচারের সকল বাঁধ ভেঙে জনগণ অবশ্যই নির্বাচনের দিন ভোট দিবেই।

এখনো সরকারকে হুঁশিয়ার করছি যে, স্থানীয় সরকারের যে প্রধান তিনি যখনই পদত্যাগ করবেন তখন তা গৃহীত হবে- এটা আইন। এই আইন ভঙ্গ করে আপনারা যে নির্বাচনী আচরণবিধি ভঙ্গ করছেন তার পরিণতি ভালো হবে না।

তিনি বলেন, দেশের বিভিন্ন জেলায় রিটার্নিং অফিসার বা সহকারি রিটার্নিং অফিসারের কাছে আওয়ামী লীগের মনোনয়নপ্রাপ্ত প্রার্থীদের সঙ্গে পুলিশের কর্মকর্তারা উপস্থিত থেকে স্পষ্ট বার্তা দেয়া হয়েছে- তারা আওয়ামী লীগের পক্ষে। এক্ষেত্রে নির্বাচন কমিশন উদাস কবির মতো আকাশের দিকে তাকিয়ে থাকলো, নির্বাচনী আচরণবিধি লঙ্ঘনের জন্য কোনো ব্যবস্থা নিলো না।

রিজভী বলেন, এসব দেখে মনে হচ্ছে- নির্বাচন কমিশন হয় অন্ধ না হয় কানা। নির্বাচন কমিশন, পুলিশ প্রশাসন, আইন-আদালত, বিচারিক প্রক্রিয়া সবকিছুর ওপরই সরকার যেন সিন্দবাদের জ্বীনের মতো সওয়ার হয়ে আছে।

সংবাদ সম্মেলনে এ সময় উপস্থিত ছিলেন দলের যুগ্ম মহাসচিব সৈয়দ মোয়াজ্জেম হোসেন আলাল, কেন্দ্রীয় নেতা আবদুস সালাম আজাদ, তাইফুল ইসলাম টিপু, বেলাল আহমেদসহ নেতারা।

এ সময় তিনি ফেনী, ঢাকা মহানগর উত্তর-দক্ষিণ, চট্টগ্রাম মহানগর, মুন্সীগঞ্জ, বগুড়া, বাগেরহাটসহ বিভিন্ন জেলায় গতকাল নেতাকর্মীদের গ্রেপ্তারের তালিকা তুলে ধরেন।