দর্পণ ডেস্ক : বছর দুয়েক আগে স্বামীকে তালাক দেন মাহফুজা আক্তার মুন্নি। স্বামী সোলায়মান তাকে জোরপূর্বক ধরে এনে শিকল পরিয়ে একটি কক্ষে বন্দি করে রাখেন। ২৬ দিন পর পুলিশ শিকলবন্দি মাহফুজাকে শুক্রবার দুপুরে সাভার পৌর এলাকার একটি বাড়ি থেকে উদ্ধার করে।

এ ঘটনায় ওই নারী বাদী হয়ে এদিন সন্ধ্যায় সাভার মডেল থানায় একটি মামলা করেছেন। এ সময় সোলায়মান পালিয়ে গেলেও পুলিশ তার ছেলে ও এক ভাইকে আটক করেছে।

মাহফুজা জানান, বিয়ের পর থেকেই স্বামী সোলায়মান ও শ্বশুরবাড়ির লোকজন তার ওপর নানাভাবে নির্যাতন চালিয়ে আসছিল। তাদের একটি ছেলে ও একটি মেয়ে রয়েছে। ছেলেকে বিয়েও করিয়েছেন। এরপরও স্বামীর নির্যাতন কমেনি বরং দিনদিন আরও বাড়ছে। তিন বছর আগে তার শরীরে গরম পানি ঢেলে দিয়ে পুড়িয়ে দিয়েছিল। এসবের পরও সন্তানদের মুখের দিয়ে তাকিয়ে সংসার ছাড়তে চাননি। এক পর্যায়ে আর সহ্য করতে না পেরে বছর দুয়েক আগে স্বামীকে তালাক দিতে বাধ্য হন তিনি।

মাহফুজা জানান, বিয়ের পর থেকেই স্বামী সোলায়মান ও শ্বশুরবাড়ির লোকজন তার ওপর নানাভাবে নির্যাতন চালিয়ে আসছিল। তাদের একটি ছেলে ও একটি মেয়ে রয়েছে। ছেলেকে বিয়েও করিয়েছেন। এরপরও স্বামীর নির্যাতন কমেনি বরং দিনদিন আরও বাড়ছে। তিন বছর আগে তার শরীরে গরম পানি ঢেলে দিয়ে পুড়িয়ে দিয়েছিল। এসবের পরও সন্তানদের মুখের দিয়ে তাকিয়ে সংসার ছাড়তে চাননি। এক পর্যায়ে আর সহ্য করতে না পেরে বছর দুয়েক আগে স্বামীকে তালাক দিতে বাধ্য হন তিনি।

অবশ্য ওই নারীর ছেলে আটক মিরাজুল ইসলাম মিরাজ বলেছে, মা সম্পর্কে এলাকাবাসী খারাপ মন্তব্য করায় তাকে ধরে এনে শিকল দিয়ে বেঁধে রাখে, যাতে সে বাইরে যেতে না পারে। নির্যাতন কিংবা অন্য কোনো উদ্দেশ্য তাদের ছিল না।

সাভার মডেল থানার ওসি আব্দুল আউয়াল জানান, ঘটনাটি অমানবিক। পারিবারিক কলহের কারণেই এমন ঘটনা ঘটেছে। ওই নারী বাদী হয়ে থানায় একটি মামলা করেছেন। ঘটনার মূল নায়ক স্বামী সোলায়মানকে গ্রেফতারের চেষ্টা চলছে।