অনলাইন ডেস্ক : ইউনাইটেড পিপলস ডেমোক্রেটিক ফ্রন্টের (ইউপিডিএফ) আধিপত্য বিস্তারের লড়াইয়ে রাঙামাটির নানিয়াচর উপজেলা চেয়ারম্যান শক্তিমান চাকমার মৃত্যুর রেশ কাটতে না কাটতেই পাহাড়ে ফের ঝরল পাঁচটি তাজা প্রাণ।
শুক্রবার দুপুরে শক্তিমান চাকমার দাহক্রিয়ায় যাওয়ার পথে রাঙামাটির নানিয়াচর উপজেলায় প্রতিপক্ষের গুলিতে ইউপিডিএফ বর্মা গ্রুপের প্রধান তপন জ্যোতি চাকমা বর্মাসহ পাঁচজন নিহত হয়েছেন। এ সময় ৯ জন গুরুতর আহত হয়েছেন।
পার্বত্য চট্টগ্রাম জনসংহতি সমিতি (জেএসএস) (এমএন) গ্রুপ এ নির্মম হত্যাকাণ্ডের জন্য ইউপিডিএফ প্রসীত গ্রুপকে দায়ী করেছে।
পার্বত্য চট্টগ্রাম জনসংহতি সমিতির (এমএন) কেন্দ্রীয় ছাত্রবিষয়ক সম্পাদক (এমএন) সুদর্শন চাকমা এ নির্মম হত্যাকাণ্ডের ইউনাইটেড পিপলস ডেমোক্রেটিক ফ্রন্টের (ইউপিডিএফ) সভাপতি প্রসীত বিকাশ খীসা গ্রুপকে দায়ী করেছে।
তবে হত্যাকাণ্ডে তাদের সংশ্লিষ্টতা অস্বীকার করেছে ইউপিডিএফ (প্রসীত) গ্রুপের প্রচার ও গণমাধ্যম শাখার প্রধান নিরণ চাকমা।
বৃহস্পতিবার সকালে রাঙামাটির নানিয়াচর উপজেলা পরিষদ এলাকায় দুর্বৃত্তের গুলিতে নিহত হয় খাগড়াছড়ি জেলা আইনজীবী সমিতির সদস্য, নানিয়ারচর উপজেলা পরিষদ চেয়ারম্যান ও জেএসএস এমএন লারমা গ্রুপের কেন্দ্রীয় সহসভাপতি শক্তিমান চাকমা। এ ঘটনার জন্য প্রতিপক্ষ ইউপিডিএফ প্রসিত গ্রুপকে দায়ী করছে জেএসএস এনএম লারমা সমর্থিতরা।
শুক্রবার দুপুর ১২টার দিকে শক্তিমান চাকমার দাহক্রিয়া অনুষ্ঠানে যাওয়ার পথে খাগড়াছড়ি-রাঙামাটি সড়কে নানিয়াচরে সন্ত্রাসীদের গুলিতে পাঁচজন মারা যান। নিহতরা হলেন- ইউপিডিএফ গণতান্ত্রিক’ দলের প্রধান তপন জ্যোতি চাকমা (৫০) ওরফে বর্মা, একই দলের কেন্দ্রীয় নেতা কনক চাকমা (৩৮), সুজন চাকমা (৩০) এবং গুলিতে আহত ৯ জনকে খাগড়াছড়ি সদর হাসপাতালে নেয়া হলে সেখানে একই দলের নেতা সেতু লাল চাকমা (৩৮) ও গাড়ির চালক মো. সজীব (২৮) মারা যান।