সাইফুল্লাহ নাসির,বরগুনা প্রতিনিধিঃ বরগুনার তালতলী উপজেলার লোকমান হোসেন হাওলাদার ওয়াকফ এস্টেটের জমির ধান লুট করে নিলেন বিএনপি নেতা নান্নু খানের নেতৃত্বে ভুমি দস্যূরা। ঘটনা ঘটেছে মঙ্গলবার সকালে হুলাটানা গ্রামে।
জানা গেছে, উপজেলার পচাঁকোড়ালিয়া ইউনিয়নের হুলাটানা গ্রামের লোকমান হাওলাদার তার ১৭ একর জমি ১৯৩২ সালে ওয়াকফ দলিল করে যান। ওয়াকফ দলিল মুলে ওয়াকফ নিবন্ধিত হয় যার ইসি নং ১৭৭৭৮। ওই ওয়াকফ এস্টেটের মোতায়াল্লী নিযুক্ত হন মোফাজ্জেল হোসেন হাওলাদার। মোতায়াল্লী নিযুক্ত হওয়ার পর থেকে মোফাজ্জেল হোসেন জমি ভোগদখল করে আসছেন। মঙ্গলবার সকালে বিএনপি নেতা নান্নু খান, হামেজ মৃধা, শ্যান গাজী ও আবুল ভুইয়ার নেতৃত্বে নাসির মৃধা, জসিম মৃধা, রফেজ হাওলাদার, ওহাব প্যাদা, হামেদ হাওলাদার ও মাহতাব গাজীসহ ৩০/৪০ জন সন্ত্রাসীরা ২ একর জমির ধান কেটে লুট করে নিয়ে যায়। জমির ধান কাটায় বাঁধা দিতে গেলে সন্ত্রাসীরা মোফাজ্জেল হোসেন হাওলাদার ও তার পরিবারের লোকজনকে ধারালো অস্ত্র দিয়ে ধাওয়া করে। প্রাণ ভয়ে তারা নিরাপদ স্থানে আশ্রয় নেয় বলে জানান ভুক্তভোগীরা। পরে সন্ত্রাসীরা জমির ধান নিয়ে যায়। জমির ধান কাটার খবর তালতলী থানা পুলিশকে জানালে এসআই জিয়াউল ইসলামসহ পুলিশের একটি দল ঘটনাস্থলে এসে ধান জব্দ করে। পরে স্থানীয় ইউপি সদস্য নাসির উদ্দিন নশা মোল্লার কাজে ৩১ আটি ধান জমা রাখেন।
জমির মোতায়াল্লি মোঃ মোফাজ্জেল হোসেন হাওলাদার বলেন, লোকমান হোসেন হাওলাদার ওয়াকফ এস্টেটের আমি মোতায়াল্লী। ওই জমি আমি ভোগদখল করে আসছি। কিন্তু ভুমি দস্যূ বিএনপি নেতা নান্নু খানের নেতৃত্বে ৩০/৪০ জনের একটি সন্ত্রাসী বাহিনী আমার জমির ধান লুট করে নিয়ে গেছে।
বিএনপি নেতা নান্নু খান জানান, কবলা দলিল মুলে আমরা ওই জমির মালিক। আমাদের জমির ধান আমরা কেটে এনেছি।
তালতলী থানার এসআই মোঃ জিয়াউল ইসলাম বলেন, ঘটনাস্থলে গিয়ে ৩১ আটি ধান জব্দ করে স্থানীয় ইউপি সদস্যের কাছে জমা রেখে এসেছি।
ইউপি সদস্য নাসির উদ্দিন নশা মোল্লা জানান, পুলিশের এসআই বিরোধীয় জমির ৩১ আটি ধান আমার কাছে জমা রেখেছে।
তালতলী থানার ওসি পুলক চন্দ্র রায় বলেন, পুলিশ পাঠিয়ে ধান জব্দ করা হয়েছে। অভিযোগ পেয়েছি আইনানুগ ব্যবস্থা নেয়া হবে।

News Editor : Ganash Chanro Howlader. Office: 38-42/2 Distillery Road, 1st floor, Gandaria, Dhaka-1204.