দর্পন ডেস্ক : শনিবার নিউজিল্যান্ডের মেসন উপসাগরের কূলে মরে থাকা ওই তিমিগুলোকে প্রথম দেখতে পায় সৈকতের একজন পথচারী। দেশটির স্টুয়ার্ট দ্বীপের সমুদ্র সৈকত থেকে ১৪৫টি তিমির নিথর মরদেহ উদ্ধার করা হয়েছে। খবর বিবিসির।

কর্তৃপক্ষ বলছে, ওই সাগরের অর্ধেকেরও বেশি তিমি ইতোমধ্যে মারা গেছে। ওই তিমিগুলোকে বাঁচানো বেশ কঠিন ছিল আর যে অর্ধেক তিমি এখনও বেঁচে আছে তাদেরকেও বাঁচানো বেশ মুশকিল হয়ে যাবে। তাছাড়া গত সপ্তাহে আরও বেশ কয়েকটি ঘটনায় ১২টি ছোট তিমি মারা গেছে।

দ্বীপটির দক্ষিণাঞ্চলীয় উপকূলের রকিউরা কিংবা স্টুয়ার্ট দ্বীপের সমুদ্র সৈকতে প্রায় দুই কিলোমিটারজুড়ে এই তিমিগুলোর মরদেহ পরে থাকতে দেখা যায়। আর এতগুলো তিমির মারা যাওয়ার দৃশ্যটি প্রথম দেখতে পান দূরে অবস্থিত পর্যটন অঞ্চলের একজন ক্যাম্প হাইকার।

প্রাকৃতিক পরিবেশ সংরক্ষণ বিভাগের আঞ্চলিক কর্মকর্তা রেন লেপেনস এক বিবৃতিতে বলেন, ‘একসঙ্গে এতগুলো তিমির মৃত্যু খুবই দুঃখজনক। প্রতিনিয়ত মরতে মরতে যেসব তিমি অবশিষ্ট ছিল সেগুলোকে বাঁচানোর সম্ভাবনা খুব কম ছিল। খুব দূরে হওয়ায় সেখানে আমাদের কোনো কর্মচারী না থাকায় দিন দিন তিমির সংখ্যা হ্রাস পাচ্ছে। তাছাড়া প্রতিনিয়ত আমরা তিমির মরে যাওয়ার সংবাদ পাচ্ছি।’

পরিবেশ সংরক্ষণ বিভাগের দেয়া বিবৃতিতে বলা হচ্ছে, নিউজিল্যানেড এ ধরনের ঘটনা অস্বাভাবিক নয়। প্রতি বছর নানা কারণে ৮৫টি তিমির মৃত্য হয় এ অঞ্চলে। সম্প্রতি যে ঘটনাটি ঘটেছিল সেখানে মাত্র একটি তিমির মৃত্যু হয়। কিন্তু এর আগে একসঙ্গে এতগুলো তিমির মৃত্যু হয়নি।