দর্পন ডেস্ক : এক সমাপনী পরীক্ষার্থী পরীক্ষাকেন্দ্রে কন্যাসন্তান প্রসব করেছে। তার বয়স ১২ বছর। সে পূর্ব জলদি আদর্শ গ্রাম সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের ছাত্রী এবং তার বাড়ি উত্তর জলদি নতুন দীঘিরপাড় এলাকায়। ঘটনাটি ঘটে চট্টগ্রামের বাঁশখালী উপজিলায়।

বাঁশখালী মডেল সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় পরীক্ষাকেন্দ্রের হল সুপার শ্রীধর গুহ বলেন, পরীক্ষার খাতা ও গণিত প্রশ্ন পেয়ে ছাত্রীটি খাতায় লেখা শুরু করে। অঙ্ক শুরু করার সঙ্গে সঙ্গে অসুস্থতার কারণে পরীক্ষার হলে লুটে পড়ে সে। সেখানেই সন্তান প্রসব হয়।

বাঁশখালী হাসপাতালের নার্সরা খবর পেয়ে দ্রুত নবজাতক ও শিশুর মাকে হাসপাতালে ভর্তি করান। ছাত্রীটি হাসপাতাল বেডে শুয়ে বলে, ‘১০ মাস আগে আমি স্কুল থেকে দুপুরে ছুটিতে ভাত খেতে যাওয়ার সময় নেজাম উদ্দিন, মান্নান ও সোনা মিয়া আমাকে জোর করে পাহাড়ে ধরে নিয়ে যায়। সেখানে হাত-পা বেঁধে তারা আমাকে ধর্ষণ করে। আমি লজ্জায় ঘটনাটি খুলে বলিনি।’

বাঁশখালী উপজেলা হাসপাতালের গাইনি বিভাগের প্রধান নাহিদা বেগম মজুমদার বলেন, প্রসব হওয়া কন্যাসন্তানের ওজন ৩ কেজি। মা ও শিশু দু’জনই সুস্থ আছে।

বাঁশখালী থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) কামাল হোসেন বলেন, তিন ধর্ষকের একজন নেজাম উদ্দিন বাঁশখালী হাসপাতালে এসে স্বেচ্ছায় ধর্ষণের ঘটনা বর্ণনা দিয়ে সবাইকে জানাতে থাকলে তাকে গ্রেফতার করা হয়। সে দুই সন্তানের জনক।এ ব্যাপারে থানায় মামলা হবে। অন্য দোষীদের গ্রেফতার করা হবে।