দর্পন ডেস্ক : ২০১৭ সালের মার্চে সমকামী বিয়ের পক্ষে রায় দিয়েছিলেন দেশটির সর্বোচ্চ আদালত। কিন্তু গণভোটে সমকামী বিয়ের বিপক্ষে অবস্থান নিয়েছে তাইওয়ানের ভোটাররা।
এ বিষয়ক আইনের সংশোধন অথবা নতুন একটি আইন পাস করতে সংসদকে দু’বছর সময় বেঁধে দিয়েছিলেন সর্বোচ্চ আদালত। কিন্তু দেশটির অধিকাংশ মানুষই এর বিপক্ষে ছিল। সে কারণেই এ বিষয়ে গণভোট অনুষ্ঠিত হয়েছে। তবে শনিবারের ওই ভোটের ফলে এই আইনে কি প্রভাব পড়বে তা এখনও স্পষ্ট নয়।
সম্প্রতি করা এক জরিপ অনুযায়ী, দেশটির ৭৭ শতাংশ মানুষ নারী ও পুরুষের মধ্যে বিয়ের ধারণার পক্ষেই অবস্থান করছে।শনিবারের ভোটের ফলাফলও এই জরিপের সঙ্গে মিলে গেছে। অর্থাৎ দেশের অধিকাংশ মানুষই সমকামী বিয়ের বিপক্ষে।
এই গণভোটের মাধ্যমে সমলিঙ্গের লোকজনকে আইনি সুরক্ষা দেয়া হতে পারে তবে তারা বিয়ের অনুমতি পাবেন না বলেই ধারণা করা হচ্ছে।
রক্ষণশীল দলগুলো বলছে, তাইওয়ানের সিভিল কোড অনুযায়ী নারী এবং পুরুষের মধ্যে বিয়ের বিষয়টি অপরিবর্তিত থাকতে হবে। অপরদিকে, এলজিবিটি কর্মীরা সমলিঙ্গের বিয়ের অধিকার চাচ্ছিল।
গণভোটের প্রাথমিক ফলাফল বলছে, রক্ষণশীলরা জনগণের সমর্থন আদায় করতে সক্ষম হয়েছে কিন্তু সমকামী অধিকার কর্মীরা ব্যর্থ হয়েছেন। প্রথমদিকে সরকারের তরফ থেকে বলা হয়েছিল যে, শনিবারের গণভোট আদালতের জারি করা রুলকে প্রভাবিত করবে না।
এখন সিভিল কোডের সংশোধন না করে নতুন আইন পাস করতে চাচ্ছে কর্তৃপক্ষ। তবে গণভোটের পক্ষে যারা প্রচারণা চালিয়েছেন তাদের আশঙ্কা নতুন এই আইন দুর্বল হতে পারে।