দর্পন ডেস্ক : গ্রামটি পরিত্যক্ত হয়েছিল কবেই। খাঁ খাঁ পড়েছিল গ্রামের বাড়িঘর, পথঘাট; কিন্তু ক্রমে সেই ‘ভুতুড়ে’ গ্রামটিই হয়ে উঠল পর্যটক-আকর্ষণের কেন্দ্রবিন্দু। এমনটাই ঘটেছে পূর্ব চীনের শেংশান দ্বীপের গ্রাম হোউতোউওয়ানের ভাগ্যে।

এক সময় এই গ্রামে ছিল তিন হাজার মৎস্যজীবীর বাস। ১৯৯০-এর দশকে এই গ্রামের বাসিন্দারা শহরের আকর্ষণে গ্রাম ছাড়তে শুরু করেন এবং একসময়ে গ্রামটি জনহীন হয়ে পড়ে। ক্রমশ জুটে গিয়েছিল ‘ভৌতিক’ বলে খ্যাতিও।

আন্তর্জাতিক সংবাদমাধ্যম বিবিসির প্রতিবেদন অনুযায়ী, আজ এই জনপদে মাত্র পাঁচজন মানুষের বাস।

সাংহাই থেকে ৫৫ মাইল দূরে অবস্থিত হোউতোউওয়ান জনশূন্য হলেও আজ তা এক নামকরা পর্যটনক্ষেত্র। নির্জন গ্রামটির সবক’টি বাড়িকেই ঢেকে ফেলেছে সবুজ লতা। বাড়িগুলোর ভিত পর্যন্ত ছড়িয়ে পড়েছে আইভিলতার শিকড়। গোটা গ্রামটিই যেন ঢাকা পড়ে গিয়েছে মায়াবি সবুজে।

ব্যস্ত শহর সাংহাই এই গ্রামটিকেই বেছে নেয় তার সন্নিহিত পর্যটনক্ষেত্র হিসেবে। সেখানে এক সুবিশাল স্টারবাকস রেস্তোরাঁ খোলা হয়।

হোউতোউওয়ানে পর্যটকদের আনাগোনা নিয়মিত। কিন্তু কেউ না কি এখানে ভূত দেখেছেন? উত্তরে বেশির ভাগ ট্যুরিস্টই মুখ টিপে হাসেন। সবুজ ছায়ায় ঘেরা বাড়ি আর দেয়ালে কি অন্য কোনো রংয়ের ছায়া ছলকে যায়!