দর্পণ ডেস্ক : শরীরে মেরুদণ্ডের অল্প ক্ষতিই ডেকে আনতে পারে ভারসাম্যহীনতা। জেনে রাখা দরকার কোন ধরনের হারের সমস্যায় এই ভারসাম্যহীনতা।

লক্ষণ বুঝে জেনে নিন-

ব্যথা মানেই যেমন তা শিরদাঁড়ায় সমস্যা নয়, আবার এমন ব্যথা হলে অবহেলাও নয়।

১. কারণ ছাড়া হাত কাঁপছে, বোতাম লাগাতে অসুবিধা, লিখতে গেলে হাত কাঁপছে এমন সমস্যা দীর্ঘ সময় ধরে হতে থাকলে অবহেলা করা চলবে না। সেক্ষেত্রে প্রথমে ওষুধ ও ফিজিওথেরাপি করে রোগ সারানোর চেষ্টা করা হয়। তাতে কাজ না হলে ঘাড়ের কাছে শিরদাঁড়া বা সার্ভাইক্যাল স্পাইন অথবা কোমরের কাছের শিরদাঁড়া বা লাম্বার স্পাইনে অপারেশন করে সমস্যা সমাধান সম্ভব।

২. পায়ের বুড়ো আঙুল অসাড় হয়ে যাওয়া বা জোর কমে যাওয়া। চলতে গেলে বারবার পা থেকে জুতো খুলে যাওয়া।

৩. পায়ের কিছু অংশ কম জোর হয়ে যাচ্ছে, পা তুলতে অসুবিধা, হাঁটতে কষ্ট।

৪. ঘাড়ের ব্যথা ঘাড় থেকে হাতের দিকে যেতে থাকলে।

৫. কোমরের ব্যথা ধীরে ধীরে পা পর্যন্ত গেলে।

৬. হাতে চাপ দিতে সমস্যা, কোনও জিনিসপত্র তুলতে, ধরতে অসুবিধা।

যেভাবে এড়িয়ে চলবেন-

১. অনেকক্ষণ বসে একটানা কাজ করা বা পড়াশোনা করলে টেবিল, চেয়ারে বসে করা উচিত। একটানা না বসে থেকে এক-দু’ ঘণ্টা অন্তর অন্তর হাঁটা চলা করা উচিত।

২. ভারী জিনিস সামনের দিকে ঝুঁকে কোনও কিছু তোলার অভ্যাস অত্যন্ত ক্ষতিকর। এইধরনের কাজ এড়িয়ে চলাই ভাল।

৩. নিয়মিত ভিটামিন ডি শরীরের প্রবেশ জরুরি। পিঠে রোদ লাগালে শিরদাঁড়া ভাল থাকে।

৪. ধূমপানের প্রভাবে শিরদাঁড়ায় সঙ্গে যুক্ত কোষ ও স্নায়ুগুলি ধীরে ধীরে নষ্ট হতে থাকে। তাই এই নেশা থেকে দূরে থাকাই ভাল।

৫. ভারী জিনিস সামনের দিকে ঝুঁকে কোনও কিছু তোলার অভ্যাস অত্যন্ত ক্ষতিকর। এইধরনের কাজ এড়িয়ে চলাই ভাল।

৬. শিরদাঁড়ার সমস্যা থেকে দূরে থাকতে সঠিক হাঁটা-চলা ও বসার ভঙ্গিমা মেনে চলতে হবে।