হোটেল এমিরেটস প্যালেস বিশ্বের অন্যতম বহুমূল্য হোটেল। প্রায় ২২০০ বর্গমিটার জায়গাজুড়ে হোটেলের সিলিং সোনা ও সোনার জলে রুপোর পাত দিয়ে মুড়ে ফেলা হচ্ছে। ২২ ক্যারাটের সোনা ব্যবহার করা হয়েছে এতে।
সোনার পাতা, যেগুলো লিংয়ে আটকানো হয়েছে, সেগুলোর স্থায়িত্ব চার থেকে পাঁচ বছর মাত্র। তাই এগুলোকে বারবার বদলাতে হয়।
এক বর্গমিটার সিলিংয়ে থাকে ৫০টি সোনার পাতা। একেকটি স্বর্ণপত্রের মূল্য প্রায় ৭২০০ টাকা। প্রতিদিন চার থেকে ছয় বর্গমিটার সোনার পাতা বদলাচ্ছে ২০০৫ সালে এটি নির্মাণ শুরু হয়।
দুবাইয়ের এই হোটেল-প্রাসাদের আইকনিক সোনার সিলিংই মূল আকর্ষণ। কেরলের ইঞ্জিনিয়ার মনোজ কুরিয়াকোসে এই হোটেল-প্রাসাদের স্থপতির দায়িত্বে রয়েছেন।কুরিয়াকোসের টিম।
প্রতি বছর প্রায় ৯৪ লক্ষ টাকার সোনার পাতার নকশা বসে হোটেলের সিলিংয়ে। বসে রূপোর সিলিংও।ইতালি থেকে আনা সোনার পাতগুলো থেকে পার্চমেন্ট পাতার মতো পাতলা টুকরো তৈরি করা হয়।
পৃথিবীর আর কোথাও এরকম সোনার পাতায় মোড়া হোটেল সিলিং পাবেন না, দাবি স্থপতির।