আলিম সোহেল, সাভার প্রতিনিধি: ঢাকার সন্নিকটে সাভার হেমায়েতপুরে অধিকাংশ পোশাক শিল্পের কারখানা হওয়ায় অশিক্ষিত -অর্ধশিক্ষিত পোশাকশ্রমিকদের শিক্ষার অভাবকে পুজি করে গড়ে উঠেছে অসংখ্য ফার্মেসি ও ডায়গোনস্টিক সেন্টার যার অধিকাংশেরই ড্রাগ লাইসেন্স সহ সরকারি কোন অনুমোদনই নেই।বড় বড় ঔষধ কোম্পানির মাঠ পর্যায়ে কোন তদারকি না থাকায় অনায়াসে ভেজাল কারবারিরা তাদের নামি ব্রান্ডের ঔষধগুলো নকল করছেন এবং সাভার হেমায়েতপুরের এইসব ঔষধের দোকানগুলোয় বাজারজাত করছেন।নকল ও ভেজাল সর্বোপরি নিম্নমানের ঔষধে সয়লাব হয়ে গেছে এই এলাকা।পুরো সাভারজুড়ে কয়েকটি এলাকা ভাগ করে গড়ে উঠেছে নকল ও ভেজাল ঔষধের ব্যবসা নিয়ন্ত্রনকারি বিরাট ও ভয়ংকর সিন্ডিকেট।ঔষধ ব্যবসায়ি কল্যানের ব্যানারে তারা নিয়ন্ত্রন করছে এই ব্যবসা।অল্প আয়ের অর্ধশিক্ষিত কিছু পোশাক শ্রমিকদের সাথে কথা বলে জানা গেল তারা নাকি ফার্মেসিতে যারা ঔষধ বিক্রি করেন তাদেরকেই ডাক্তার বলে সম্মোধন করেন এবং প্রচন্ড আত্মবিশ্বাসের সংগে বললেন -“এরাই ডাক্তার”।এই যখন তাদের অবস্থা তার সুযোগতো তারা নেবেন এতে কোন সন্দেহই নেই!তাই বলে প্রেসক্রিপসন ছাড়াই তারা কিডনি,লিভার বা ক্যান্সার এর মত ভয়াবহ অসুখের ঔষধ দেবেন এটা কোনভাবেই গ্রহযোগ্য নয় বললেন এলাকার বিশিষ্টজনরা।এব্যপারে সংবাদশ্রমিক পরিচয় দিয়ে ঔষধ প্রশাসন অধিদপ্তরে যোগাযোগ করা হলে দেখছি-দেখবেন বলে কাটিয়ে দিলেন।স্বভাবতই জনমনে প্রশ্ন জেগেছে-“সর্ষের মধ্যেই ভুত নেই তো?”ভেজাল ও নকল ঔষধের উপর গভীর অনুসন্ধানে বেরিয়ে এল ” থলের বড় বেড়ালটি”সাভার হেমায়েতপুরের মোট ৩৭৭টি ফার্মেসির মাত্র ৩৪টির ড্রাগ লাইসেন্স রয়েছে বাকি সবই অবৈধ।সরকার ঘোষিত মডেল ফার্মেসির দেখা মিলল সাভারের ফুলবাড়িয়ায় একটি সরু গলির মুখে।স্থানীয়রা মডেল ফার্মেসির সুফল সম্পর্কে কিছুই জানেন না বলে জানালেন।বিশিষ্টজনদের অভিমত অচিরেই এসব অবৈধ ফার্মেসিগুলো বন্ধ করে ভেজালকারিদের আইনের আওতায় এনে বিচারের মাধ্যমে কঠিনতম শাস্তি নিশ্চিত করা উচিত এবং মডেল ফার্মেসির সংখ্যা আরো বাড়িয়ে এর সুফল সকলকে জানানো উচিত কারন ঔষধের মত স্পর্শকাতর বিষয়টিকে কোনমতেই হেলাফেলা করা উচিত নয়।

News Editor : Ganash Chanro Howlader. Office: 38-42/2 Distillery Road, 1st floor, Gandaria, Dhaka-1204.