দর্পণ ডেস্ক : নবান্ন উৎসবের আনন্দ কৃষকদের মাঝে ছড়িয়ে দিতে দিনাজপুরে শুরু হয়েছে তিন দিনব্যাপী ‘প্রাণ চিনিগুড়া চাল নবান্ন উৎসব’। বাংলাদেশ টেলিভিশনের আয়োজনে
শুক্রবার দিনব্যাপী হাডুডু খেলা, বৌছি, বিস্কুট দৌড়, ফ্যাশন শো, গুপ্তধন উদ্ধার, নৃত্য, শিশুদের চিত্রাঙ্গন প্রতিযোগিতা, কুস্তি, নারীদের চোখ বেঁধে হাঁড়ি ভাঙা ইত্যাদি প্রতিযোগিতা অনুষ্ঠিত হয়। সন্ধ্যার পর ভাসান পালাসহ গ্রাম বাংলার ঐতিহ্যবাহী নানা প্রদর্শনী অনুষ্ঠিত হয়।

শেষ দিন শনিবার কৌতুক, নাটিকা, লাঠি খেলা, মোরগ লড়াই, কুস্তি, দাড়িয়া বান্ধা, ভাসান পালাসহ গ্রাম বাংলার ঐতিহ্যবাহী নানা প্রদর্শনী অনুষ্ঠিত হবে। এ উৎসবে বসেছে প্রাণ-এর সামগ্রীসহ ২০টি পিঠার স্টল। এ আয়োজন শনিবার রাত আটটা পর্যন্ত চলবে।

উৎসবটি সব শ্রেণি-পেশার মানুষের জন্য উন্মুক্ত। উৎসবের সাংস্কৃতিক পর্বে গান পরিবেশন করছেন জনপ্রিয় সঙ্গীত শিল্পীরা।

নবান্ন উৎসবে আসা দর্শনার্থীরা জানান, কালের বিবর্তনে আমাদের সংস্কৃতি থেকে অনেক ঐতিহ্যবাহী উৎসব হারিয়ে যাচ্ছে। নবান্ন উৎসবের মতো এমন গ্রাম বাংলার ঐতিহ্যবাহী উৎসবকে শহরের মানুষ বিশেষ করে নতুন প্রজন্মের কাছে পরিচয় করিয়ে দেয়ার উদ্দেশ্যে দিনাজপুরে নবান্ন উৎসবের আয়োজন এবার আলাদা আনন্দ যোগ করেছে।

এ উৎসবের বিভিন্ন প্রতিযোগিতায় অংশগ্রহণকারীদের উপহার তুলে দেন প্রাণ চিনিগুড়া চাল-এর হেড অফ মার্কেটিং মো. মোস্তাফিজুর রহমান।

নবান্ন উৎসবে আসা ফুলবাড়ী উপজেলার উত্তর শিবপুর উচ্চ বিদ্যালয়ের শিক্ষক আনোয়ার সাদাত মন্ডল বলেন, প্রাণ-এর নবান্ন উৎসব আমাদের প্রাণে নাড়া দিয়েছে। দিনাজপুরের মানুষ এই উৎসব উপভোগ করছে। আগামীতে এই আয়োজনগুলো প্রাণ আরও তৃণমূল পর্যায়ে নিয়ে যাবে বলে আমরা আশা করছি।

উল্লেখ্য, প্রাণ চিনিগুড়া চাল নবান্ন উৎসব নিয়ে বাংলাদেশ টেলিভিশনে ‘কৃষকের নবান্ন উৎসব’ শীর্ষক একটি অনুষ্ঠান প্রচার করা হবে। অনুষ্ঠানটির পরিকল্পনা ও উপস্থাপনায় রয়েছেন রফিক রাজ।