কয়েক দিন ধরেই প্রেসিডেন্টের ওপর চাপ সৃষ্টি করছিলেন মেলানিয়া ট্রাম্প। কিন্তু গতকাল মোক্ষম বিবৃতি এলো ফার্স্টলেডির অফিস থেকে। যাতে বলা হয়েছে, মিরা রিকার্ডেল আর হোয়াইট হাউসে কাজ করার যোগ্য নন।

ঘরে-বাইরে তো ছিলই, এবার সংসারেও চাপের মুখে মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প। ফার্স্টলেডি মেলানিয়া ট্রাম্প চাইছেন, অবিলম্বে ছেঁটে ফেলা হোক দেশের সহকারী জাতীয় নিরাপত্তা উপদেষ্টাকে।

কিন্তু ব্যাপার কী! মেলানিয়া এই নারী উপদেষ্টার ওপর ওপর ক্ষেপে উঠলেন কেন? কোনও ব্যাখ্যা দেয়নি তার অফিস। হোয়াইট হাউসের প্রেস সচিব সারা স্যান্ডার্সও মুখে কুলুপ এঁটেছেন।

তবে নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক হোয়াইট হাউসেরই একাংশ বলছে, যত কাণ্ড আফ্রিকাতেই! গত মাসে আফ্রিকা সফরে প্রেসিডেন্ট ও ফার্স্টলেডির সঙ্গে ছিলেন মিরা। তার কাজের ধরন পছন্দ হয়নি বলেই চূড়ান্ত পদক্ষেপ নিতে চাইছেন মেলানিয়া।

শোনা যাচ্ছে, আফ্রিকা সফরে ফার্স্ট লেডির জন্য বরাদ্দ অর্থের পুরোটা তার হাতে তুলে দেননি মিরা!

হোয়াইট হাউসের এক কর্মকর্তার দাবি, সফরসঙ্গী হলেও আফ্রিকায় একবারের জন্যও মেলানিয়ার মুখোমুখি হননি মিরা।

ট্রাম্প প্রশাসনের একাংশ বলছে, ফার্স্টলেডিরা মাঝেসাঝেই প্রেসিডেন্টের কাজের এখতিয়ারে ঢুকে পড়েন। কিন্তু এমন লিখিতভাবে ক্ষোভ উগরে প্রেসিডেন্টের ওপর সরাসরি চাপ সৃষ্টি এই প্রথম।

আনন্দবাজারের প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, ২০১৬ সালে প্রেসিডেন্ট নির্বাচনে ট্রাম্পের হয়ে প্রচারে ছিলেন মিরা। চলতি বছরের গোড়ায় তাকে সহকারী হিসেবে হোয়াইট হাউসে নিয়ে আসেন জাতীয় নিরাপত্তা উপদেষ্টা জন বল্টন।

তবে এখনও চাকরি যায়নি মিরার। হোয়াইট হাউসে এক অনুষ্ঠান পালনেও ছিলেন আগাগোড়া হাসিমুখে। সেই অনুষ্ঠান শেষ হতেই বিবৃতি পাঠিয়ে বসে ফার্স্টলেডির অফিস।