প্রধানমন্ত্রীর রাজনৈতিক উপদেষ্টা ও নির্বাচন পরিচালনা কমিটির কো-চেয়ারম্যান এইচ টি ইমাম বলেছেন, ডিসেম্বরের পরে একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন অসম্ভব।

বুধবার রাতে রাজধানীর আগারগাঁওয়ে নির্বাচন কমিশনের সঙ্গে বৈঠক শেষে সাংবাদিকদের একথা বলেন তিনি।

বিএনপির উদ্দেশে প্রধানমন্ত্রীর রাজনৈতিক উপদেষ্টা এইচ টি ইমাম বলেন, তারা একদিকে সুষ্ঠু ভোট চাইবেন, আরেকদিকে সহিংসতা করবেন। এটা হতে পারে না।

এইচ টি ইমামের নেতৃত্বে আওয়ামী লীগের একটি প্রতিনিধিদল ইসির সঙ্গে বৈঠক করে।

এর আগে বিকালে নির্বাচন কমিশনের সঙ্গে বৈঠক করেন ড. কামাল হোসেনের নেতৃত্বাধীন জাতীয় ঐক্যফ্রন্টের নেতারা।

বৈঠক শেষে সাংবাদিকদের ঐক্যফ্রন্টের শরিক দল বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর বলেন, আমরা জাতীয় নির্বাচনের তারিখ তিন সপ্তাহ পেছানোর জন্য নির্বাচন কমিশনকে দাবি জানিয়েছিলাম। তারা বলেছে, নির্বাচন পেছানো যায় কিনা তা আলাপ-আলোচনা করে পরে জানানো হবে।

নির্বাচনে সেনাবাহিনীর নিয়োগের বিষয়ে তিনি বলেন, আমরা নির্বাচনে ম্যাজিস্ট্রেসিসহ সেনাবাহিনী নিয়োগের জন্য বলেছি, তারা বলেছে বিষয়টি বিবেচনা করবে। নির্বাচনের আগে জনপ্রসাশন ও পুলিশ প্রসাশনের রদবদরের কথা বলেছি। তারা এটাকেও ভেবে দেখবে বলে জানিয়েছে।

সংবাদিকদের মির্জা ফখরুল আরও জানান, নির্বাচন কমিশনের সঙ্গে হয়রানি ও গায়েবি মামলার বিষয়ে আলোচনা হয়েছে। তাদেরকে মামলার বিষয়ে অবহিত করেছি রাজনৈতিক উদ্দেশ্যপ্রণোদিতভাবে আর কাউকে যেন গ্রেফতার করা না হয়। এ বিষয়ে তারা হয়রানি ও গায়েবি মামলার মামলার তালিকা চেয়েছেন।

তিনি বলেন, নির্বাচন চলাকালে নির্বাচন পর্যবেক্ষণে কোনো বাধা থাকবে না বলেও নিশ্চিত করেছে কমিশন।

রিটার্নিং কর্মকর্তার রাজনৈতিক পরিচয় তৈরির আহ্বান জানানো হয়েছে উল্লেখ করে বিএনপির এই নেতা বলেন, নির্বাচনে যারা রিটানিং কর্মকর্তা হিসেবে দায়িত্ব পালন করবে তাদের রাজনৈতিক তালিকা তৈরির জন্য আমরা বলেছি, এ বিষয়ে কমিশন আমাদের আশ্বস্ত করেছেন।

মির্জা ফখরুল আরও জানান, নির্বাচন কমিশন বলেছে নির্বাচন চলাকালীন সময়ে গণমাধ্যম কর্মীদের সরাসরি সম্প্রচারে আমরা নিষেধাজ্ঞা আরোপ করতে চাই, এ বিষয়ে আমরা বলেছি এটা যেন না করা হয়। তারা বলেছে আমরা আলোচনা করে বিষয়টি জানাব।

বৈঠকে গণফোরাম সভাপতি কামাল হোসেনের নেতৃত্বে ঐক্যফ্রন্টের নেতাদের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন খন্দকার মোশাররফ হোসেন, মওদুদ আহমেদ, কৃষক শ্রমিক জনতা লীগের কাদের সিদ্দিকী, হাবিবুর রহমান তালুকদার, জেএসডির আবদুল মালেক রতন, শহীদ উদ্দিন স্বপন, গণস্বাস্থ্য কেন্দ্রের জাফরুল্লাহ চৌধুরী, নাগরিক ঐক্যের মাহমুদুর রহমান মান্না, এস এম আকরাম, জাতীয় ঐক্য প্রক্রিয়ার সুলতান মো. মনসুর আহমদ এবং গণফোরামের সুব্রত চৌধুরী, মোস্তফা মহসিন মন্টু ও মোকাব্বির খান।

এছাড়া অসুস্থতার কারণে এ বৈঠকে আসতে পারেননি জেএসডির আ স ম রব।

অন্যদিকে প্রধান নির্বাচন কমিশনার কেএম নুরুল হুদা ছাড়াও নির্বাচন কমিশনার মাহবুব তালুকদার, রফিকুল ইসলাম, কবিতা খানম ও ইসি সচিব হেলালুদ্দীন আহমদ বৈঠকে অংশ নেন।