অনলাইন ডেস্ক :

স্কুলছাত্রীর পরিবার সূত্র জানায়, ফেসবুক বন্ধু আদনান মির্জা বন্ধুত্বের ‘মাসপূর্তি’ উদযাপনের কথা বলে তাসফিয়াকে মঙ্গলবার শবেবরাতের দিন ডেকে নেয়। নিয়ে যায় একটি চায়নিজ রেস্টুরেন্টে। এরপর সহযোগীদের নিয়ে আদনান তাসফিয়াকে হত্যা করে লাশ ফেলে দেয় পতেঙ্গা সমুদ্রসৈকতে।

মঙ্গলবার সন্ধ্যায় আদনানকে তাসফিয়ার পরিবারের লোকজন আটকও করেছিল। কিন্তু তাসফিয়াকে ফিরিয়ে দেওয়ার কথা বলে সে (আদনান) কৌশলে সটকে পড়ে।

এদিকে পতেঙ্গা সমুদ্রসৈকতের পাথরের ওপর থেকে উদ্ধার হওয়া স্কুলছাত্রী তাসফিয়ার চোখেমুখে আঁচড়ের চিহ্ন ছিল। ধারণা করা হচ্ছে, তাকে ধর্ষণের পর হত্যা করে লাশ ফেলে দেওয়া হয়েছে। পুলিশ লাশ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য চমেক হাসপাতালের মর্গে পাঠায়।

পতেঙ্গা থানার ওসি মোহাম্মদ আবুল কাশেম বলেন, স্থানীয়দের কাছ থেকে খবর পেয়ে গতকাল সকালে তার লাশ উদ্ধার করা হয়। তার শরীরের বিভিন্ন অংশে আঘাতের চিহ্ন রয়েছে। পরিবারের বরাত দিয়ে তিনি জানান, মঙ্গলবার বিকালে কাউকে কিছু না বলেই বাসা থেকে বের হয় তাসফিয়া। এরপর থেকে সবার সঙ্গে যোগাযোগ বিচ্ছিন্ন ছিল। গতকাল লাশ উদ্ধার করার পর পরিবার তার লাশ শনাক্ত করে।