বাড়িতে মন বসে না। তাই ঘন ঘন বেড়াতে যায়। তবে পাবলিক ট্রান্সপোর্ট মোটে পছন্দ নয়। চাই ব্যক্তিগত গাড়ি। তাও আবার যে সে গাড়ি নয়, হতে হবে লিম্যুজিন। এমনইনানা বায়না পৃথিবীর সবচেয়ে ধনী কুকুর চতুর্থ গান্থারের।

পৃথিবীর ধনীতম জার্মান শেপার্ড প্রজাতির ওই কুকুরের নাম চতুর্থ গান্থার। বাবা তৃতীয় গান্থার ছিল জার্মানির এক ধনী মহিলা কার্লোত্তা লিবেনস্টাইনের পোষ্য। উত্তরাধিকার সূত্রে মালকিনের থেকে ৮ কোটি মার্কিন ডলার পায় সে।

তার মৃত্যুর পর ওই টাকা যায় ছেলে চতুর্থ গান্থারের নামে। বিভিন্ন সংস্থায় বিনিয়োগ করার পর ফুলেফেঁপে ওই টাকা এই মুহূর্তে ৪০ কোটি মার্কিন ডলারে দাঁড়িয়েছে। যা প্রায় ৩ হাজার কোটি টাকা।

বিভিন্ন দেশে বাড়ি রয়েছে গান্থারের। রাজার হালে থাকে সে। সপ্তাহান্তে বেড়াতেও যায়। যার অত টাকা, পাবলিক ট্রান্সপোর্ট কি তাকে মানায়- তাই ব্যক্তিগত গাড়িই পছন্দ। তবে যে সে গাড়ি নয়, এক্কেবারে লিম্যুজিন। যাতে হাত পা ছড়িয়ে বসাও যায়, আবার মন চাইলে এ মাথা থেকে ও মাথা দৌড়ে বেড়ানোও যায়।

তবে হোটেল নিয়েও ছুতমার্গ রয়েছে বিস্তর। পাঁচতারা হোটেলের সার্ভিসেই একমাত্র ভরসা তার। যাতে খাবারদাবার থেকে বিছানার চাদর, সবকিছুই হয় পরিপাটি। থাকে স্পায়ের বন্দোবস্তও। হোটেলে পৌঁছে প্রথমে কিছু ক্ষণ বিশ্রাম নেয় সে। টিভিতে কার্টুন দেখে সময় কাটায়। তার পর লনে খেলাধূলা করে। অবসরে খায় তার প্রিয় পানীয়।