খাবার দোকানে মুরগি সাপ্লাই করতেন লয়েড ওলসেন ও তার স্ত্রী ক্লারা। ১৯৪৫ সালের সেপ্টেম্বর মাসে এক সকালে ৪০টির মতো মুরগি কাটার পর তারা দেখতে পান, একটি মুরগি মরেনি। ধড় থেকে মাথা আলাদা হলেও ওই মুরগি হেঁটে বেড়াচ্ছে। মুণ্ডুহীন ওই মুরগির মৃত্যুর অপেক্ষায় সেটিকে একটি বাক্সে রেখে দিয়ে ঘুমোতে যান ওলসেন।
পরের দিন সকালে ঘুম থেকে উঠে ওলসেন যা দেখলেন, তাতে অবাক হয়ে যান তিনি। মাথা ছাড়াই বেঁচে আছে মুরগিটি। মুরগিটির প্রতি মায়া হওয়ায় আর মারার চেষ্টা করেননি ওলসেন। পরে মুরগিটির নাম রাখা হয় মাইক।
ঘটনাটি ঘটেছিল যুক্তরাষ্ট্রের মিশিগানে ১৯৪৫ সালে। ওই মুরগির মালিকের নাম ছিল লয়েড ওলসেন। আনন্দবাজারের এক প্রতিবেদনে এ তথ্য জানানো হয়।
মুরগির মাথার পেছনে থাকে মস্তিষ্কের মূল অংশটা। মাইকের মাথা কাটার সময় তার একটি কান বাদ দিয়ে চোখ, ঠোঁটসহ পুরো মাথাটাই কাটা পড়ে। কিন্তু আশ্চর্যজনকভাবে বেঁচে যায় তার মস্তিষ্কের ৮০ শতাংশ অংশ। মাইকের মস্তিষ্কের ওই অংশটাই তার শ্বাস-প্রশ্বাস, হৃদস্পন্দন, খিদে, হজম নিয়ন্ত্রণ করত। আর এ অবস্থাতেই মুরগিটি বেঁচে ছিল পুরো ১৮ মাস।
মাথা না থাকায় ওলসেন একটি ড্রপারে করে তরল খাবার ও পানি সরাসরি ওই মুরগির খাদ্যনালিতে ঢেলে দিতেন।
সেই সময় মাথা কাটা ওই মুরগির ছবি পত্র-পত্রিকায় প্রকাশিত হয়। শুধু ছবি প্রকাশই নয়, মাইক যত দিন বেঁচে ছিল, তার মালিক প্রতি মাসে পেয়েছেন ৪,৫০০ মার্কিন ডলার। মিশিগানে এখনো সবাই মাথা ছাড়া মুরগি মাইককে স্মরণ করেন।
কলোরাডোর ফ্রুটা শহরে গেলে এখন মুণ্ডুহীন মুরগির স্ট্যাচুর দেখা মেলে। মাইকের স্মৃতিতে প্রতি বছর মে মাসে পালিত হয়ে থাকে ‘মাইক দ্য হেডলেস চিকেন’।