দর্পণ ডেস্ক : সরকারের দুই মন্ত্রীর স্বাক্ষর জাল করে ওষুধ ব্যবসায়ী এবং নগরের হাজারী লেইনের এস আর মেডিকো নামের একটি ফার্মেসির মালিক সুনীল চৌধুরী নামের মধ্য বয়স্ক ব্যক্তি কারাগারে রাত কাটাচ্ছেন।
খাদ্যমন্ত্রী এডভোকেট কামরুল ইসলাম ও মুক্তিযুদ্ধ বিষয়ক মন্ত্রী আ.ক.ম মোজাম্মেল হকের স্বাক্ষর জাল করে মঙ্গলবার বিকেলে চট্টগ্রামের রেভিনিউ ডেপুটি কালেক্টর (আরডিসি) মাহমুদ উল্লাহ মারুফের কার্যালয়ে গিয়ে ধরা পড়েন তিনি। এরপরই পুলিশ ডেকে সুনীলকে পাঠানো হয় কারাগারে।

চট্টগ্রাম জেলা প্রশাসন সূত্রে জানা গেছে, সরকারি জমির ইজারা ফি আদায়ে অনিয়মের অভিযোগ এনে চট্টগ্রাম জেলা প্রশাসনের ভিপি শাখার অফিস সহকারি মিজানুল ইসলামের বিরুদ্ধে বিভাগীয় কমিশনারের নিকট অভিযোগপত্র জমা দেন সুনীল চৌধুরী। সে অভিযোগে তিনি সরকারের খাদ্যমন্ত্রী এডভোকেট কামরুল ইসলাম ও মুক্তিযুদ্ধ বিষয়ক মন্ত্রী আ.ক.ম মোজাম্মেল হকের সুপারিশ নিয়েই জমা দেন। দুই মন্ত্রীর স্বাক্ষর দেখে বিষয়টি ঠিকই গুরুত্বের সমাধানের জন্য শুনানিতে অংশ নিতে তাকে ডাকা হয় জেলা প্রশাসনের রেভিনিউ ডেপুটি কালেক্টর (আরডিসি) মাহমুদ উল্লাহ মারুফের কার্যালয়ে।

শুনানির এক পর্যায়ে একটি অভিযোগপত্রে দেই মন্ত্রীর স্বাক্ষরের যৌক্তিকতা ও সত্যতা নিশ্চিতে প্রশ্নকরা হয় সুনীলকে। সে সময় সন্তোষজনক কোনো জবাব দিতে পারেননি তিনি।

পরে সুপারিশের বিষয়ে নিশ্চিত হতে চট্টগ্রামের আরডিসি মাহমুদ উল্লাহ মারুফ নিজেই মোবাইল ফোনে কথা বলেন খাদ্যমন্ত্রীর একান্ত সহকারি সচিব কেএম জাহাঙ্গীরের সঙ্গে।

এ সময় জাহাঙ্গীর জানান, খাদ্যমন্ত্রী এডভোকেট কামরুল ইসলাম এ ধরনের কোনো অভিযোগে সুপারিশ করেননি। সুনীল চৌধুরীও স্বীকার করেন সেই দুই মন্ত্রীর স্বাক্ষরটি তিনি নিজেই দিয়েছেন।

এরপর সিএমপির কোতোয়ালী থানা পুলিশের হাতে সোপর্দ করা অভিযোগকারী সুনীল চৌধুরীকে।

এ প্রসঙ্গে জানতে চাইলে আরডিসি মাহমুদ উল্লাহ মারুফ বলেন, একটি অভিযোগে ২ জন মন্ত্রীর স্বাক্ষর দেখে প্রথমেই সন্দেহ হয়। তারপর জিজ্ঞাসাবাদে তিনি নিজেই স্বীকার করেছেন সব।

চট্টগ্রামের জেলা প্রশাসক মো. ইলিয়াস হোসেন বলেন, মন্ত্রী-এমপিসহ গুরুত্বপূর্ণ ব্যক্তিদের স্বাক্ষর জাল করে নানা ধরনের জালিয়াতি করে আসছে একটি প্রতারক চক্র। এতে প্রকৃত সুপারিশ নিয়ে এসেও অনেক সময় প্রতিকার থেকে বঞ্চিত হন অনেকে।