সৌদি আরবের জ্বালানির উৎসকে বহুমুখী করে তোলার লক্ষ্যে পরমাণু কেন্দ্র চালু করা হচ্ছে বলে জানায় দেশটির রাষ্ট্রীয় বার্তা সংস্থা এসপিএ। সৌদি যুবরাজ মোহাম্মদ বিন সালমান সোমবার দেশটির প্রথম পরমাণু গবেষণা কেন্দ্রের ভিত্তিপ্রস্তর স্থাপন করেছেন। এর মাধ্যমে দেশটি পারমাণবিক যুগে প্রবেশ করলো।
এসপিএর খবরে জানা যায়, পরমাণু কেন্দ্রটি গবেষণা ও শিক্ষামূলক কাজে ব্যবহৃত হবে, পরমাণু শক্তির উৎপাদনের জন্য নয়। তবে এটি কবে নির্মাণ সম্পন্ন হবে বা এতে কত টাকা ব্যয় হবে সে সম্পর্কে কিছু জানায়নি বার্তা সংস্থাটি।
সৌদি আরবের জ্বালানি ও বিদ্যুৎ শক্তির চাহিদা দ্রুত বৃদ্ধি পাচ্ছে। বর্তমানে দেশটি এই চাহিদা পূরণে এবং লবণাক্ত পানিকে সুপেয় পানিতে পরিণত করতে তাদের তেল ও প্রাকৃতিক গ্যাস ব্যবহার করছে।
আগামী দুই দশকে সৌদি আরব ১৬টি পরমাণু কেন্দ্র স্থাপনের পরিকল্পনা করছে বলে জানায় বার্তা সংস্থা এএফপি। মধ্যপ্রাচ্যে পরমাণু অস্ত্রের বিস্তার নিয়ে আশঙ্কা থাকলেও আট হাজার কোটি ডলার ব্যয়ে এই পরমাণু কেন্দ্রগুলো নির্মাণ করবে রিয়াদ।
গত মার্চ মাসে যুবরাজ সালমান জানিয়েছিলেন, ইরান পরমাণু অস্ত্র তৈরি করলে সৌদি আরবও করবে।
সিবিএসের সঙ্গে এক সাক্ষাৎকারে তিনি ইরানের সর্বোচ্চ নেতাকে হিটলারের সঙ্গে তুলনা করে বলেন, ‘তিনি মধ্যপ্রাচ্যে নিজস্ব প্রকল্প বাস্তবায়ন করতে চাইছে।’
২০১৫ সালে ইরান ও বিশ্বের পরাশক্তিগুলোর মধ্যে স্বাক্ষরিত পরমাণু চুক্তির বিরোধিতা করে আসছে সৌদি আরব। গত মে মাসে প্রেসিডেন্ট ট্রাম্প এই চুক্তি ছেড়ে বেরিয়ে যাওয়ার সিদ্ধান্ত জানালে তাকে স্বাগত জানায় দেশটি।