দর্পণ ডেস্ক : হিমালয়ের পাদদেশে অবস্থিত দেশের উত্তর জনপদের পঞ্চগড় জেলার বাংলাবান্ধা, তেঁতুলিয়াসহ পুরো এলাকায় শীতের প্রকোপ ক্রমেই বাড়ছে।

সন্ধ্যা ঘনিয়ে আসার সঙ্গে সঙ্গে হিমালয়ের পাদদেশ থেকে বয়ে আসা হিমেল ঠাণ্ডা হাওয়া বাড়িয়ে দিচ্ছে শীতের প্রকোপ।

সন্ধ্যার পর থেকে পরদিন সকাল ৯টা পর্যন্ত শীতের আধিক্য লক্ষ করা গেলেও দিনের বেশিরভাগ সময়জুড়ে আবহাওয়া থাকছে বেশ গরম।

জেলায় এমন বিরূপ আবহাওয়া বিরাজ করায় ঘরে ঘরে শীতজনিত নানা রোগবালাই প্রায় লেগেই আছে। বিশেষ করে শিশু এবং বয়স্করা সর্দি, জ্বরসহ বিভিন্ন শীতজনিত রোগে আক্রান্ত হয়ে স্থানীয় স্বাস্থ্যকেন্দ্রগুলোতে চিকিৎসা নিচ্ছেন।

এতে করে জেলার মানুষের ধারণা এবার শীত অনেক বেড়ে যাবে।

আবহাওয়া পরিবর্তনসহ হিমালয়ের কাছাকাছি অবস্থানে থাকায় পঞ্চগড় জেলায় স্বাভাবিকভাবেই শীত একটু বেশি। শীতের কবল থেকে রেহাই পেতে জেলার সচ্ছল মানুষজন প্রয়োজনীয় গরম কাপড় ইতোমধ্যে বের করেছে।

তবে বিপাকে পড়েছে ছিন্নমূল গরিব লোকজন। বাংলাবান্ধা সিপাইপাড়া এলাকার আবদুল জব্বার (৬২) জানান, গত ২-৩ দিন ধরে শীত বেশি পড়ছে। কাঁথা বা কম্বল ছাড়া রাতে ঘুমানো যায় না। সন্ধ্যার পর থেকে ঠাণ্ডা হাওয়ার সঙ্গে ঘন কুয়াশা পড়ছে যা গুঁড়ি গুঁড়ি বৃষ্টির মতো মনে হচ্ছে।

তেঁতুলিয়া আবহাওয়া অধিদফতরের পর্যবেক্ষক ফজলুর রহমান জানিয়েছেন, এখন থেকে প্রতিদিনই একটু একটু করে বাড়বে শীতের তীব্রতা। রোববার সকাল ৯টা পর্যন্ত জেলায় সর্বনিম্ন তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়েছে ১৬ দশমিক ৫ ডিগ্রি সেলসিয়াস।

তবে জানুয়ারি মাসের প্রথমার্ধে তাপমাত্রা ১০ থেকে অনেক নিচে নেমে আসবে। যেমনটি গত বছর তেঁতুলিয়ার তাপমাত্রা মাত্র ২ ডিগ্রিতে নেমে এসেছিল।

পঞ্চগড় আধুনিক সদর হাসপাতালের আবাসিক মেডিকেল কর্মকর্তা ডা. মনোয়ারুল ইসলাম জানিয়েছেন, অবস্থানগত কারণে প্রতি বছর পঞ্চগড়ে মাত্রাতিরিক্ত শীত পড়ে।

এ সময় প্রচুর মানুষ অসুস্থ হয়ে পড়ে। তাই শীত মোকাবেলায় এখন থেকে সচেতনতা অবলম্বনসহ এলাকার ছিন্নমূল গরিব লোকজনদের মধ্যে পর্যাপ্ত কম্বলসহ প্রয়োজনীয় শীতবস্ত্র বিতরণের উদ্যোগ নিতে হবে।

তেঁতুলিয়া উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা সানিয়ূল ফেরদৌস জানিয়েছেন, তেঁতুলিয়ায় শীত মোকাবেলায় ইতিমধ্যে প্রয়োজনীয় শীতবস্ত্র ও কম্বল বরাদ্দের জন্য সরকারি পর্যায় ছাড়াও বেসরকারি পর্যায়ে বিভিন্ন সংস্থাকে লিখিতভাবে অনুরোধ জানানো হয়েছে।

আশা করছি খুব দ্রুততম সময়ের মধ্যে বরাদ্দ পেয়ে যাব। বরাদ্দ পেলে পরিস্থিতি মোকাবেলায় কোনো বেগ পেতে হবে না।