দর্পণ ডেস্ক : সিলেট টেস্ট জিততে হলে বাংলাদেশকে করতে হবে ৩২১ রান। ড্র করতে হলে খেলতে হবে আরও দুই দিন। কিন্তু টেস্টে বাংলাদেশের সর্বোচ্চ জয় ২১৫ রানের লক্ষ্য তাড়া করে। ২০০৯ সালের জুলাইয়ে সেইন্ট জর্জে স্বাগতিক ওয়েস্ট ইন্ডিজের বিপক্ষে এই রান চেজ করে ৪ উইকেটে জিতেছিল মুশফিকুর রহিমের দল।

সিলেটের আকাশ অনেকটা আশীর্বাদ হিসেবেই মেঘ করে ফেলল বাংলাদেশের জন্য। যে কারণে বিকাল সোয়া ৪টাতেই বন্ধ হয়ে গেল তৃতীয় দিনের খেলা। আলো স্বল্পতার জন্য খেলা আর শুরু করা সম্ভব না হওয়ায় প্রায় ৫০ মিনিট আগেই খেলার সমাপ্তি ঘোষণা করলেন আম্পায়াররা। দিনশেষে দ্বিতীয় ইনিংসে বাংলাদেশের সংগ্রহ বিনা উইকেটে ২৬ রান। লিটন দাস ১৪ এবং ইমরুল কায়েস ১২ রানে অপরাজিত আছেন।

এর আগে টসে জিতে ব্যাটিংয়ে নেমে প্রথম ইনিংসে ২৮২ রানে অলআউট হয় জিম্বাবুয়ে। বাংলাদেশের হয়ে ৬ উইকেট নেন তাইজুল। কিন্ত নিজেদের প্রথম ইনিংসে চরম ব্যর্থতার পরিচয় দেয় স্বাগতিক ব্যাটসম্যানরা। দ্বিতীয় দিনে দেড় সেশনেই অলআউট হয় মাত্র ১৪১ রানে। অভিষিক্ত আরিফুল হক ৭ নম্বরে নেমে অপরাজিত সর্বোচ্চ ৪১ রান করেন। ১৩৯ রানের লিড নিয়ে দ্বিতীয় ইনিংস শুরু করে জিম্বাবুয়ে।

সোমবার তাইজুল-মিরাজ-অপুদের ঘূর্ণিতে ১৮১ রানে জিম্বাবুয়ের দ্বিতীয় ইনিংস শেষ হয়। সর্বোচ্চ ৪৮ রান করেন অধিনায়ক মাসাকাদজা। ম্যাচে দ্বিতীয়বারের মতো পাঁচ উইকেট নেন তাইজুল। এতে বাংলাদেশের চতুর্থ বোলার হিসেবে টেস্টে নূন্যতম ১০ উইকেট পাওয়া হয়ে যায় তার। ৩ উইকেট নেন মিরাজ এবং দুটি নেন নাজমুল অপু। বাংলাদেশের সামনে টার্গেট দাঁড়ায় ৩২১ রানের।