দর্পণ ডেস্ক : ইসরায়েল-ফিলিস্তিনে ততক্ষণ শান্তি আসবে না যতক্ষণ না সেখানকার ইহুদি ও মুসলিম জনগোষ্ঠী খ্রিস্টধর্ম গ্রহণ করবে। যুক্তরাষ্ট্রে মধ্যবর্তী নির্বাচনে নর্থ ক্যারোলাইনার রিপাবলিকান প্রার্থী মার্ক হ্যারিস এক ধর্মীয় বক্তৃতায় এ কথা বলেছেন।
শার্লটের সাবেক এই ব্যাপটিস্ট যাজক ২০১১ সালে ইসরায়েল সফরের স্মৃতিচারণ করার এক পর্যায়ে শুক্রবার এ কথা বলেন। রিপাবলিকান জিওবি দলের পক্ষ থেকে নির্বাচনে দাঁড়ানোর উদ্দেশ্যে গত বছর ব্যাপটিস্ট প্যাস্টরের পদ থেকে অব্যাহতি নেন তিনি।
বক্তৃতায় মার্ক হ্যারিস বলেন, ‘আপনি কখনোই ওই শক্তিশালী মুগ্ধকর পূণ্যভূমিতে ফিলিস্তিনি ও ইহুদিদের মাঝে চলমান চরম টানাপোড়েন অনুভব করা ছাড়া সময় কাটাতে পারবেন না। জেরুজালেমে কখনোই শান্তি আসবে না যদি না এমন একটা দিন আসে যেদিন সেখানকার প্রত্যেকটি মানুষ একই দিকে ঝুঁকবে, প্রত্যেকটি কণ্ঠ যিশু খ্রিস্টকে ঈশ্বর হিসেবে মেনে নেবে।’
৬ নভেম্বরের মধ্যবর্তী নির্বাচনের প্রচারণাই ছিল মূলত ওই ভাষণের উদ্দেশ্য। কিন্তু সেখানে ধর্মীয় বক্তৃতা শুরু করে হ্যারিস বারবার জোর দিয়ে বলতে থাকেন ইসরায়েল-ফিলিস্তিনে চলমান অশান্তি-অস্থিরতা থেকে উত্তরণের একমাত্র পথ সেখানে বসবাসকারী ইহুদি ও মুসলিমদের খ্রিস্টান হয়ে যাওয়া।
এর আগেও একাধিকবার মার্কি হ্যারিসের কথাবার্তায় ভিন্ন ধর্ম সম্পর্কে অপ্রিয়তা ও বিশেষ করে ইসলাম ভীতিমূলক মন্তব্য পাওয়া গেছে। সিএনএন জানায়, ২০১০ সালের নভেম্বরে এক ভাষণে তিনি ইসলামকে ‘শয়তানের কাজ’ উল্লেখ করে বলেছিলেন, ইসলাম ‘আমাদের প্রজন্মের সবচেয়ে বড় কপটতা… এজন্যই আমাদেরকে সেসব রাজনৈতিক নেতাদের ব্যাপারে খুব বেশি সতর্ক হতে হবে যারা একে পৃথিবীর অন্যতম শ্রেষ্ঠ ধর্ম বলে অভিহিত করেন। কিন্তু এটি তা নয়।’
জেরুজালেম মুসলিম, ইহুদি ও খ্রিস্টান- তিন ধর্মের মানুষের জন্যই একটি পবিত্র স্থান। ইসরায়েল সমগ্র জেরুজালেমকে নিজেদের অধিকারভুক্ত বলে দাবি করে। কিন্তু জাতিসংঘসহ আন্তর্জাতিক সম্প্রদায় তাদের এ দাবি স্বীকার করে না।
জাতিসংঘের সিদ্ধান্ত অনুযায়ী পূর্ব জেরুজালেম, যেখানে আল-আকসা মসজিদসহ বৃহত্তম হারাম শরিফ অবস্থিত, সেটি ইসরায়েল ১৯৬৭ সালের পর থেকে অবৈধভাবে দখল করে রেখেছে।